১৩ বছরের শিশু ধর্ষণের বিচার চেয়ে কুবি, গোবিপ্রবি, জাবিপ্রবি, ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৭ AM , আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০১ AM
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় হিন্দু যুবক কর্তৃক ১৩ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর টানা তিনদিন ধরে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ ও সর্বোচ্ছ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জুমা ক্যাম্পাসগুলোতে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী কায়েসুর রহমান বলেন, অপরাধীর কোনো ধর্ম হয় না। ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই আন্দোলন করবো। দেশের প্রতিটি নারীর সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মুসলিম হিজাবী নারীর সাথে অন্যায় হলে চুপ থেকে শুধু সিলেক্টিভ আন্দোলন করা যাবে না। সবার জন্যই ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গাজীপুরের শিশুটিকে যে বা যারা ধর্ষণ করেছে আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন, সমাজে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সময় যথাযথ অনুসন্ধান ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা উচিত। যদি ঘটনার শিকার ব্যক্তি অন্য কোনো সামাজিক বা ধর্মীয় শ্রেণিভুক্তিতে হতেন, হয়তো পরিস্থিতি আরও তীব্রভাবে আলোচিত হতো, তাই সমান বিচার ও দ্রুত ব্যবস্থা দাবি করা হলো।
ঢাকা কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার একটি মাদ্রাসার ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে দুই মাস আগে কৌশলে আটকিয়ে রাখা হয় এবং তিন দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়। আমরা এ ঘটনার যত দ্রুত সম্ভব সর্বোচ্ছ বিচার চাই।
জানা যায়, গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ১৩ বছর বয়সী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। মা-বাবা গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে গাজীপুরের মৌচাকে ভাড়া বাসায় থাকেন এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়তেন। দুই মাস আগে ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবেশী সঞ্জিত বর্মন ও তার শ্যালক লোকনাথ চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় ভাগিনা জয় কুমার দাস মেয়েটিকে অপহরণ করে লোকনাথের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে তাকে জোরপূর্বক তিনদিন ধরে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে জয় কুমার দাস ও তার লোকজন।