অপহৃত তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে পাওয়া গেল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প
কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প  © সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার একটি বাসা থেকে অপহরণ হওয়া তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে অপহরণের সঙ্গে জড়িত রোহিঙ্গা যুবক এখনো পলাতক রয়েছে।

চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। রাত ১১টার দিকে উদ্ধারকৃত ছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, অপহরণকারী রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া পৌরসভার একটি বাসায় অন্য এক রোহিঙ্গা নারীকে স্ত্রী পরিচয়ে নিয়ে ভাড়া থাকছিলেন। তিনি স্থানীয়ভাবে শিক্ষক পরিচয়ে কয়েকজন শিশুকে প্রাইভেট পড়াতেন, যাদের একজন ছিল অপহৃত ছাত্রী। ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তিনি চকরিয়ায় বসবাস করছিলেন।

ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। শিক্ষকের বাসায় তালা দেওয়া ছিল, মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। পরদিন সকালে ছাত্রীর বাবার মোবাইলে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কণ্ঠ শুনেই তারা বুঝতে পারেন যে, ফোনদাতা ওই শিক্ষক মুজিবুর রহমান।

অপহরণকারীর কাছ থেকে বিকাশ নম্বর পাওয়ার পর ছাত্রীটির বাবা কিছু টাকা পাঠান। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ মুজিবুরের অবস্থান শনাক্ত করে। দ্রুত অভিযান চালিয়ে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে অপহৃত ছাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের আগেই মূল অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে। অপহরণকারীকেও শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।’ তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ