চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গিয়ে হামলায় আহত পুলিশের ৫ সদস্য

আহত পুলিশ কনস্টেবল শাহ ইমরান
আহত পুলিশ কনস্টেবল শাহ ইমরান  © টিডিসি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইলফোন উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ৫ পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিবপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়াসহ চারজনকে আটক করে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান (৩০), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ হোসেন (২৯), কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম (৩২), কনস্টেবল শাহ ইমরান (২৭) এবং কনস্টেবল পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫)। এর মধ্যে গুরুতর আহত শাহ ইমরানকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন : রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা করতে এসে ধরা গোপালগঞ্জের সাত ছাত্রলীগ নেতাসহ ১১ 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চোরাই মোবাইলফোন চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাতে শিবপাশা গ্রামে অভিযান চালায়। ওই সময় চোরাই মোবাইলসহ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের রুমন মিয়াকে (২৮) আটক করা হয়।

তবে রুমন মিয়া দাবি করেন, মোবাইলটি তিনি ক্রয় করেছেন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কের একপর্যায়ে রুমনের ভাই মামুন মিয়াসহ কয়েকজন নারী-পুরুষ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আটক মামুন মিয়া বলেন, ‘যে মোবাইলটিকে চোরাই বলা হচ্ছে, সেটা আমার ভাই রুমন মিয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছেন। আমরা জানতাম না ফোনটি চুরি করা।’

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ