ইডেন ছাত্রীর আত্মহত্যা, পরিবারসহ লাপাত্তা বয়ফ্রেন্ড!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০২:৩৪ PM , আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০২:৩৬ PM
ইডেন কলেজের অনার্স ২ বর্ষের ছাত্রী সায়মা কালাম মেঘার আত্মহত্যার পর থেকে লাপাত্তা হয়েছেন বয়ফ্রেন্ড মাহীবি হাসান। এর আগে বয়ফ্রেন্ড মাহীবি তার প্রেমিকার আত্মহত্যার দৃশ্য ভিডিও কলে লাইভ দেখেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মেঘার মা কে ফোন করে মেয়ের আত্মহত্যার বিষয়টি জানান ওই বয়ফ্রেন্ড।
এ ঘটনায় রবিবার রাতে অপমৃত্যুর একটি মামলা করা হয়। মামলায় মেয়ের আত্মহত্যার পেছনে প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। রাজধানীর কলাবাগান থানায় অপমৃত্যুর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাচা আবুল বাশার।
মামলায় দাবি করা হয়, ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাকাঠি এলাকার মাহীবি হাসান (২৫) নামের এক যুবকের প্ররোচনায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেঘা। সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মেঘার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে কলাবাগান থানা পুলিশ।
এদিকে ঝালকাঠি শহরের পূর্বচাদকাঠি বিআইপি কলোনির পেছনে মাহীবি হাসানের বাড়ির গেটে তালা ঝুলছে। নিচতলার ভাড়াটিয়া একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মো.গাজী হায়দার বলেন, আমি আমার দুইবোন নিয়ে নিচতলায় ভাড়া থাকি। বাড়ির মালিক জেলা জজ আদালতের পেশকার মো. নফিসুর রহমান কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। তার স্ত্রী সেলিনা বেগম এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে দোতলায় থাকেন। গত ২১ এপ্রিল শবে বরাতের দিন রাতে তারা কোথায় চলে গেছে আমরা জানি না। গত ৩/৪ দিন ঘরে তালা মারা।
মেঘার চাচা আবুল বাশার মেঘার বান্ধবীদের বরাত দিয়ে জানান, শবে বরাতের দুইদনি আগে শুক্রবার মেঘা ও মাহীবি হাসানের গোপনে বিয়ের কথা ছিল। এ জন্য মেঘা কিছু কেনা কাটাও করেছিল। কিন্তু মাহীবি কথা দিয়েও বিয়ের জন্য আসেনি। এনিয়ে মোবাইল ফোনে তাদের ঝগড়া হয়। ঘটনার দিন রোববার বিকেলে মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও মেঘা এবং মাহীবির ইমোতে কথা হয়। ভিডিও কলে কথা বলার সময়ই মেঘা তার বয়ফ্রেন্ড মাহীবিকে জানায় সে যদি বিয়ে না করে তাহলে এখনই সে আত্মহত্যা করবে। এসময় মাহীবিকে ভিডিও কলে রেখে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে মেঘা ঝুলে পড়ার আয়োজন করে।
তিনি আরও জানান, মর্মান্তিক এ দৃশ্য দেখেও মাহীবি হাসান মেঘাকে বিয়েতে রাজি হয়নি। মৃত্যু নিশ্চিত হলে মাহীবি ঝালকাঠিতে মেঘার মা রুবিনা আজাদকে মোবাইল ফোনে মেঘার মৃত্যর বিষয়টি জানায়। মেঘার মা বিষয়টি ঢাকায় মেঘার বান্ধবী আনিকাকে জানালে আনিকা কিছু বন্ধু বান্ধব নিয়ে কাঁঠাল বাগানের বাসায় যায়। তারা বাসায় গিয়ে বাড়ির মালিকের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মেঘাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা মেঘাকে মৃত ঘোষণা করে।