ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে গাছে বেঁধে মারধর, ৯৯৯-এ ফোনে বাঁচলেন প্রাণে

আহত সাবেক ছাত্রদল নেতা
আহত সাবেক ছাত্রদল নেতা  © সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়ায় গাছের সঙ্গে বেঁধে সম্রাট আকবর নামের ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় জরুরি সহায়তার ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল পেয়ে তাকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য জসিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিরবিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সম্রাট আকবর জাহাজমারা ইউনিয়নের পূর্ববিরবিরি গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে। তিনি জাহাজমারা ইউনিয়ন পূর্ব শাখার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমান ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন জাহাজমারা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। তিনি বিরবিরি গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। জসিমের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দখলদারি, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জসিমের বাড়িতে সম্রাটকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পেটানো হচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করতে গেলে জসিমের লোকজন তাদের বাধা দেন। পরে তাঁর স্বজনেরা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে সহযোগিতা চাইলে জাহাজমারা ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা এসে আহত অবস্থায় সম্রাটকে উদ্ধার করেন।

সম্রাটের মা মরিয়ম নেছা বলেন, এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে গেলে জসিমের লোকজন বাধা দেন। ছেলে আর্তনাদ করলেও কিছুই করতে পারছিলাম না। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে উদ্ধার করলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আহত সম্রাট বলেন, জসিমের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতবিরোধ রয়েছে। আমি আমার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাড়িতে ফিরছিলাম। জসিমের বাড়ির সামনে দিয়ে ফেরার সময় তার সঙ্গে আমার দেখা হয়। সেখানে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জসিমের লোকজন আমার ওপর আক্রমণ করে। তারা আমাকে ওই বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে আমার হাত-পা বেঁধে রাখে। এরপর জসিম লাঠি দিয়ে আমাকে বেদম পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে লাঠি ভেঙে গেলে বিদ্যুতের মোটা তার দিয়ে পেটান। আমার হাত ভেঙে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জসিম বলেন, ঘটনাটি সঠিক নয়। তবে পুলিশ আহত ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে কীভাবে—এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

হাতিয়া থানার জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. খোরশেদ আলম বলেন, ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোনকল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। জসিমের বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় সম্রাটকে উদ্ধার করা হয়। তাকে তার স্বজনদের মাধ্যমে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে জসিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!