শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে ফ্লাইট এক্সপার্ট!
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪০ PM , আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০৬ AM
বাংলাদেশের অন্যতম বড় অনলাইন ট্রাভেল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ হঠাৎ করে কার্যক্রম গুটিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং অফিস বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট কাউকেই খুঁজে পাচ্ছেন না। শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করা বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি এবং সাধারণ গ্রাহক এখন চরম অনিশ্চয়তায়।
ফ্লাইট এক্সপার্টের সেলস ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, গতরাতেই আমাদের মালিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অফিসের কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে না। আমরা এখন মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যাচ্ছি।
একই সময়ে ফেসবুকে অনেকেই লিখেছেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের মূল কর্তা গতরাতে গোপনে দেশত্যাগ করেছেন। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
সকালে রাজধানীর মতিঝিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে গেলে সেটি বন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ব্যবহারকারীরা জানাচ্ছেন, টিকিট রিফান্ড, বুকিং কনফার্মেশন কিংবা যেকোনো ধরনের সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির হেল্পলাইন থেকেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
ফ্লাইট এক্সপার্টের ফেসবুক পেজে গিয়ে দেখা গেছে, তাদের সর্বশেষ পোস্ট ছিল হজ নিয়ে। সেখানে হজ রেজিস্ট্রেশন ও প্যাকেজের মূল্য প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর আর কোনো আপডেট নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক গ্রাহক ও ট্রাভেল ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। জয়িতা আফরিন নামে একজন লিখেছেন, ‘ফ্লাইট এক্সপার্টের মতো ট্রাস্টেড কোম্পানি যদি এভাবে পালিয়ে যায়, তাহলে সাধারণ মানুষ আর কাকে বিশ্বাস করবে?’
২০১৭ সালের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইট এক্সপার্ট। একটি জমকালো লঞ্চ ইভেন্টের মাধ্যমে তাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করা হয়। শুরু থেকেই তারা দেশি-বিদেশি ফ্লাইট টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ট্যুর প্যাকেজ এবং ভিসা প্রসেসিংসহ নানা সেবা দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিশেষ করে, সহজ ইউজার ইন্টারফেস, নানা ডিসকাউন্ট অফার এবং মোবাইল পেমেন্টের সুবিধার কারণে স্বল্প সময়ে তারা বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের আস্থা অর্জন করে।
ফ্লাইট এক্সপার্টের মাধ্যমে শতাধিক ট্রাভেল এজেন্সি তাদের ক্লায়েন্টদের টিকিট বুক করত। অনেকে আগাম পেমেন্ট করে লাখ লাখ টাকা আটকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু ট্রাভেল এজেন্সি নয়, সাধারণ যাত্রীরাও টিকিট কনফার্মেশন না পেয়ে দিশেহারা।