চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, জনতার হাতে বাসচালক আটক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:৪৪ AM , আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫, ১২:৩১ AM
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দিতে একটি যাত্রীবাহী বাসে কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা চালক মো. সাব্বির মিয়াকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। পরে তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। তবে হেলপার লিটন মিয়া ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়।
রবিবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান।
পুলিশ জানায়, আটক বাসচালক সাব্বির মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার ছাতির মিয়ার ছেলে। পলাতক হেলপার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ঢাকার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা। রবিবার সকালে তিনি ‘বিলাশ পরিবহন’ নামে একটি বাসে করে ঢাকার ফার্মগেট থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও ঘুমিয়ে পড়ায় তিনি সেখানে নামতে পারেননি এবং বাসটি তাকে নিয়ে সিলেট চলে যায়।
পরে সিলেট থেকে আজমিরীগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি লোকাল বাসে উঠেন। নবীগঞ্জের শেরপুর এলাকায় পৌঁছানোর পর অন্যান্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসে একা থাকা ওই ছাত্রীকে বাসচালক সাব্বির এবং হেলপার লিটন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগীর চিৎকারে আউশকান্দি এলাকার স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় চালক সাব্বিরকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীসহ তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘জনতার সহায়তায় বাসচালককে আটক করা সম্ভব হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। হেলপার লিটন পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’