ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল
মেজর সিনহা হত্যা মামলায়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১১:২৯ AM , আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:৪৮ PM
কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাবেক টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ২৯ মে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা দিপ্তী, জসিম সরকার, ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ এবং লাবনী আক্তার।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে উঠে আসে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র্যাব ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবসহ স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য রায় হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং দণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করেন। আজকের রায়ে হাইকোর্ট তাদের আপিল খারিজ করে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখল।