লাশ গুম

ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তার তিনজন
গ্রেপ্তার তিনজন  © সংগৃহীত

রাজধানীর তুরাগ এলাকায় রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার হত্যার ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে ডিএমপির তুরাগ থানার পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সবুজ ফকির (২৮), কালাম (২২) ও মো. শাকিল (১৮)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার (২৫ মে) আশুলিয়া ও দিয়াবাড়ি এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

তুরাগ থানা সূত্রে জানা যায়, তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ি মেট্রো গোলচত্বর এলাকায় অবস্থিত রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার (৫৩) গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে রাইদা ডিপোর উদ্দেশে বের হন। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বাসায় ফিরে না আসায় এবং ফোন রিসিভ না করায় তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৮ জানুয়ারি তুরাগ থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করেন তার স্ত্রী শিউলি আক্তার।

আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে ভর্তি: দ্বিতীয় মেধাতালিকার ফল প্রকাশ আজ

থানা সূত্রে জানা যায়, জিডির প্রাথমিক তদন্তকালে তথ্য পাওয়া যায়, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে আনোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাব্য হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়। এরপর গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কালাম ও শাকিলকে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানার পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তুরাগ থানা পুলিশ দিয়াবাড়ি মেট্রো গোলচত্বরের ডেসকো অফিসের পূর্ব পাশে রাইদা ডিপোর ভেতরের উত্তর পাশের টিনের বেড়া-সংলগ্ন মাটির নিচ থেকে আনোয়ারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। ভিকটিমের পরিবারের ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আনোয়ারের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে গতকাল একটি হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন: সচিবালয় ‘অচল’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি কর্মচারী নেতাদের

থানা সূত্র আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেন, তারা সবাই রাইদা বাসের চালক। গত ১৭ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে রাইদা বাস ক্রয়-বিক্রয়ের লেনদেন-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারা ও তাদের কয়েকজন সহযোগী মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আনোয়ার হোসেন সিকদারকে রাইদা বাস ডিপোর ভেতরে হত্যা করেন। তারা প্রথমে ভিকটিমের মাথায় লোহার পাইপ দ্বারা আঘাত করেন এবং পরে গলায় ধারালো ছুরি দ্বারা আঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর তারা লাশ গুম ও প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশে নিহত ব্যক্তির মৃতদেহ বাস ডিপোর উত্তর পাশে টিনের বেড়ার কাছে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!