দলবদ্ধ ধর্ষণে নিহত কলেজ ছাত্রীর লাশ ৫ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন

কলেজ ছাত্রীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে কবর থেকে
কলেজ ছাত্রীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে কবর থেকে  © টিডিসি ফটো

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণে নিহতের প্রায় ৫ মাস পরে ময়নাতদন্তের জন্য ভিকটিম সানজিদা খাতুন (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোর্টের আদেশে ওই লাশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  তাসমিয়া আক্তার রোজী এর উপস্থিতিতে উপজেলার চারভাঙ্গুড়া এলাকার কবরস্থান হতে উত্তোলন করা হয়। 

ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এর আগে গত ৬ অক্টোবর ওই তরুণীর পিতা মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ওই ছাত্রীর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদনও করেছিলেন। মামলায় প্রধান আসামি নীরব ও অন্য আসামিরা হল নীরবের বন্ধু রমজান, মাজফুজ ও নীরবের আত্মীয় জাহিদুল ইসলাম। 

মামলা দায়েরের পরপরই পলাতক আসামি মাহফুজকে র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনার একটি দল নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কচুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন। এখন পর্যন্ত প্রধান আসামি নীরব ও মাফুজুল জেল হাজতে রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল করিম জানান, মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি ভাঙ্গুড়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ ছাত্রী সানজিদার সঙ্গে কৈডাঙ্গা গ্রামের সূর্য খানের ছেলে নীরবের প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুযোগে নীরব ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নীরব। 

২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কৈডাঙ্গা গ্রামে ডেকে এনে নীরব ও তার বন্ধু রমজান এবং মাহফুজুল ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গুরুতর অবস্থায় পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। 

 


সর্বশেষ সংবাদ