নেত্রকোনায় যৌতুকের দাবিতে স্কুল শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ 

কেন্দুয়া থানা
কেন্দুয়া থানা  © সংগৃহীত

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বান্দলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল শিক্ষিকা মোছা রুনা আক্তার (৩২) তার স্বামী রিয়াজ আহম্মেদ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কেন্দুয়া থানায় তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। 

বাদী মোছা রুনা আক্তার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত সাত বছর আগে আমি উপজেলার বান্দলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকে আমার স্বামী, ভাসুর এবং স্বামীর বড় বোন যৌতুকের জন্য মারধর,শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এর মধ্যে আমি মারধর না করার শর্তে এক বছর আগেচার লক্ষ টাকা ঋণ করে তাদের হাতে তুলে দেই। এর কিছু দিন পর সব টাকা খরচ করে ফেলার পর আবার আমার বাবার কাছ থেকে যৌতুক হিসাবে আরো দশ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আমার আমার স্বামী রিয়াজ আহম্মেদ সিরাজ, ভাসুর অলিউল্লাহ এবং স্বামীর বড় বোন শিল্পী আক্তার মিলে আমাকে লোহার রড  দিয়ে আমার শরীরের হাত, কোমর পেট, বুক সহ বিভিন্ন অংশে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে এবং আমার গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধ করে ফেলে। এক সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরার পর আমার সন্তাদের সহযোগিতায় অপরিচিত অটোরিকশা যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা গ্রহণ করি এবং কিছুটা সুস্থ হয়ে থানায় এসে অভিযোগ করি। আমি এদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

রুনা আক্তারের স্বামী রিয়াজ আহম্মেদ সিরাজকে বাড়িতে না পেয়ে মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

শিক্ষক, মানবাধিকার ও নারী নেত্রী কল্যাণী হাসান বলেন, একজন শিক্ষিকাকে যৌতুকের জন্য তার স্বামী এবং স্বামীর বাড়ির লোকজন মিলে যেভাবে যখম করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি এদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। 

কেন্দুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক বলেন রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে দশ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে শিক্ষিকা রুনা আক্তারকে মারধরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। 


সর্বশেষ সংবাদ