মৃত ভেবে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে ফেলে গেলেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০২ PM , আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০২ PM
ফেনীর সোনাগাজীতে এক ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে তাঁর হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কর্মী সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এই হামলা হয় বলে জানা যায়।
অভিযুক্ত সাইফুল উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবুলের ভাই। গুরুতর আহত মনিরুল ইসলাম প্রাণনাশ ও গ্রেপ্তার-হয়রানির ভয়ে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আহত মনিরুল বলেন, ভোটের আগে প্রতিহিংসা ও পুলিশের গণ-গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে ছিলাম। দু'দিন আগে বাড়িতে আসি। এই খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী সাইফুল, ইমাম, সজিবসহ চারজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে এসে ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আলমপুর গ্রামের কাটাখিলা মাদ্রাসা মার্কেটের সামনে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা বেধরক পেটানোর পর অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে ফেলে যায়। আমার পুরো শরীরে আঘাত করা হয়েছে। এতে বা হাত ভেঙ্গে গেছে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হামলা পরবর্তী গ্রেপ্তারের ভয়ে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে গোপন স্থানে চলে যাই। ভয়ে মামলা করারও সাহস পাচ্ছি না।
হামলার পরই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত সাইফুল। এ বিষয়ে জানতে তাঁর ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মহিন উদ্দিন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হামলা হয়। চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত কাজে ভারত গেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মফিজুল হক বলেন, কোনও ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, হামলার খবর পেয়েছি। সাইফুল আওয়ামী লীগ কর্মী ও চেয়ারম্যানের ভাই, কিন্তু কী জন্য হামলা করা হয়েছে তা হামলাকারীরাই জানে। দল এর দায়িত্ব নিবে না।
ছাত্রদল নেতা মনিরুলের ওপর হামলার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন সোনাগাজী থানার ওসি সুদিপ রায় পলাশ। তবে থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক মো. ওয়াদুদ বলেন, ছাত্রদল নেতা মনির হামলা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ধরনের একটি অভিযোগ থানায় জমা হয়েছে। অভিযোগকারীর নাম বলতে পারছি না।