কলেজছাত্র অপহরণ মামলায় পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৫ AM , আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২০ AM
রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে এক কলেজছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টাকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম আমেনুল মোমেনীন (২৮)। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর শনিবার (১৮ নভেম্বর) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
পুলিশ জনিয়েছে, আমেনুল মোমেনীন ডিএমপি’র ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রের নাম নোমান হোসেন। তাকে অপহরণের অভিযোগে আমেনুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ভাটারা এলাকার মো. তুহিন (২৮), মো. রাতুল (২০), মো. আরিফ (৩০) ও মো. লিটন (২৫)। তারা সবাই পলাতক।
মামলার এজাহারে নোমানের মা লিজা আক্তার উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় তার ছেলে নোমান ভাটারায় নানির বাসার উদ্দেশে বের হন। নোমান এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে পুলিশ পরিচয়ে তাদের থামানো হয়। সেখান থেকে নোমানকে তুলে নিয়ে ভাটারার নূরের বাজার রোড এলাকায় আমেনুলের সহযোগী তুহিনের বাসায় আটকে রাখা হয়। সেখানে মারধর করে তার কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একে অপরকে দুষছেন ছাত্রলীগ-ছাত্রদল
প্রথম ধাপে টাকা ও মোবাইল নেওয়ার পর নোমানের কাছে আরও টাকা চাওয়া হয়। তখন নোমান জানান, তার কাছে টাকা নেই। পরে টাকা নেওয়ার জন্য নোমানকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাসায় গিয়ে নিজেকে পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন আমেনুল।একপর্যায়ে নোমানের মা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন বাসায় গিয়ে আমেনুলকে আটক করেন। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে ভাটারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমেনুলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মইনুল ইসলাম জানান, ভাটারা এলাকায় নোমান হোসেন নামের এক তরুণকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আমেনুল মোমেনীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপর চার আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।