ক্লাস বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধন, পরে ছুটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৭ PM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪৮ PM
ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি উচ্চবিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে দাঁড় করানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২ অক্টোবর) নয়াবাজার উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের সড়ক সামনের সড়কে ‘বিদ্যালয়ের জমিসংক্রান্ত বিষয়ে অপপ্রচার ও কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে ব্যানার নিয়ে এ মানববন্ধন হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম এ গফুর ও সদস্যদের পক্ষে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার এম এ গফুরসহ কমিটির সদস্য মো. সালাউদ্দিন ও মো. কামাল উদ্দিনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি বিক্রির চেষ্টার প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। তারা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হস্তক্ষেপ কামনা করেন প্রশাসনের।
স্থানীয়রা বলছেন, কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা নিজেদের অন্যায় ও অনিয়ম আড়াল করতে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করিয়েছেন। অষ্টম শ্রেণির দুজন শিক্ষার্থী জানায়, মানববন্ধনের বিষয়ে তারা কিছু জানত না। প্রথম ক্লাস শেষে কয়েকজন শিক্ষক ও কমিটির লোকজন এসে মানববন্ধনে অংশ নিতে বলেন। পরে আর ক্লাস হয়নি।
ফারুক হোসেন নামের একজন বলেন, ২০১৬ সালে বিদ্যালয়ের ২১০ শতাংশ জমিতে বালু ভরাট করে এম এ গফুর, সালাউদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। তখন এলাকাবাসী বাধা দেন। এতে সফল না হলে ২৩ শতাংশ জমির ভুয়া জাল দলিল বানিয়ে ফের বিক্রির পাঁয়তারা করছেন।
আরো পড়ুন: ডাকসুর সাবেক নেতা আখতারের নেতৃত্বে নতুন ছাত্র সংগঠন
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এম এ গফুরের ভাষ্য, মানববন্ধনের জন্য ক্লাস বন্ধ রাখা হয়নি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
কোনো শিক্ষার্থীকে জোর করা হয়নি বলে দাবি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হানিফারও। তিনি বলেন, মানববন্ধনে আমি কোনো সহায়তা করিনি। এলাকাবাসী আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করেছেন সভাপতিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তাঁরাই মানববন্ধন করেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মজিদ বলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারতেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করে মানববন্ধন করা উচিত হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।