প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের সভায় আ.লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের সভায় আ.লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের সভায় আ.লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়রের অনুসারী আব্দুল মালেক (৫০), ফয়সাল সোহাগ (৩৮), মো. জামাল (৩৫), সুমন (৩৫), রাসেল (২৬), সাদ্দাম (৩০), আফসার হোসেন (৫০) (৩৫), আবুল কালাম ও সালাউদ্দিন (৩৮)। তারা সবাই গজারিয়া উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে আহত হয়েছেন পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের ভাই মনির হোসেন (৪৮)। তিনি সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারী।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন প্রধান সড়কে পৌরসভা এই সভার আয়োজন করে। সেখানে যোগ দিতে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ জিন্নাহর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ট্রলারযোগে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এসে পৌঁছায়।

পরে তারা ট্রলার থেকে নেমে পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের এলাকা দিয়ে মিছিল করে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাউন্সিলরের ভাই মনির হোসেন লোকজন নিয়ে মিছিলে বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মনির হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক এস এম ফেরদৌস জানান, সাত জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন। চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লব অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের নির্দেশে তার অনুসারীরা অতর্কিতভাবে এ হামলা করে। 

তবে তার অভিযোগ সংসদ সদস্যকে জানালে তিনি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। ফয়সাল বিপ্লবের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠান করছি। সে অনুষ্ঠানে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে সংসদ সদস্য মৃণালের লোকজন। আমরা পুলিশ সুপারের কাছে এর বিচার চাই। এর বিচার না হলে উচিত জবাব দেওয়া হবে।

গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্না বলেন, আমরা গজারিয়া থেকে ৫০টি ট্রলারে করে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী মেঘনা নদী অতিক্রম করে ধলেশ্বরী নদীর লঞ্চঘাট এলাকায় এলে সেখানে বাধা দেয়। আমাদের ওপর হামলাও করে। এই ঘটনার আমাদের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা মেনে নেবো না। মৃণাল কান্তি দাস গজারিয়া উপজেলা কীভাবে যায় তা আমরা দেখে নেবো।


সর্বশেষ সংবাদ