এআইয়ে বাড়ছে অপরাধ, নতুন আইনের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়
বেশি ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীরা
- মো. নূর এ আলম নুহাশ
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৭ AM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১০ AM
প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, শেয়ার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করেছে। পাশাপাশি সাইবার জগতে মানুষের অস্তিত্বকে ভূলণ্ঠিত করার পথও অনেকাংশে সুগম করেছে। আর প্রযুক্তি নির্ভর মানুষের অস্তিত্বের নিরাপত্তা ঝুঁকি বহুগুনে বাড়িয়েছে প্রযুক্তির নতুন সংস্করণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। যার মাধ্যমে সব থেকে বেশি ভুক্তভোগী শিশু ও নারী শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিংয়ের ঘটনাও। পৃথিবী বিস্তৃত এআই নির্ভর সাইবার অপরাধকে রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে আইন দ্বারা আটকানো সম্ভব কিনা তা নিয়েও সন্ধিহান প্রযুক্তিবীদ এবং অপরাধ বিশ্লেষকরা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন ডাটার ব্যাপকতা ও ব্যবহারে সহজ হওয়ায় সহজেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে মানুষ অপরাধের শিকার হচ্ছেন। সেইসঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি নবায়নের ফলে এই প্রযুক্তি নির্ভর অপরাধ জগতকে নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে পড়ছে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য। যে কারণে এ সম্পর্কিত অপরাধকে কোনো আইন কিংবা শাস্তির আওতার মধ্যেও পুরোপুরি আনা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
সাইবার অপরাধে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। সাইবার অপরাধের শিকার প্রায় ৬০ শতাংশই নারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইডি হ্যাকড হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশই নারী। আইনের আশ্রয় নেয়া ভুক্তভোগীদের ৮০ শতাংশ আইনি ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট নন। - ‘বাংলাদেশ সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২৩’এর প্রতিবেদন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে বহু মানুষের চাকরি হারানোর ভীতির পাশাপাশি এই প্রযুক্তির অপব্যবহারে শঙ্কাও রয়েছে অনেক। তৈরি হচ্ছে ফেক নিউজ, ফেক ইভেন্ট, ফেক রিলেশনশিপ এবং ডিপ ফেক ভিডিও। ঘটছে হ্যাকিং। বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তার জন্য সব থেকে থেকে চিন্তার বিষয় এ দেশের তুলনায় উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তিগুলো আরো অনেক বেশি উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছেই। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রযুক্তিগত বৈষম্য।
ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইন্সস্টিটিউটের সমীক্ষা বলছে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয়তার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৪০-৮০ কোটি মানুষ চাকরি হারাবে। এছাড়া মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এআই প্রযুক্তি চাকরির বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে বিশ্বব্যাপী অন্তত ৩০ কোটি মানুষের চাকরি কেড়ে নেবে।
গত বছরের নভেম্বরে আসা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন সংস্করণ জেনারেটিভ এআই চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে তৈরী ডিপফেক বর্তমানে সব থেকে দুশ্চিন্তার নাম। এটি এমনভাবে ছবি, ভিডিও বা অডিও তৈরি করে যা অবিকল বাস্তব মনে হয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করে ইতোমধ্যেই বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশে সাইবার অপরাধ ও এর মাধ্যমে প্রতারণার বেশি শিকার নারী ও শিশুরা। ভুক্তভোগীদের ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশের বয়সই ১৮ বছরের নিচে এবং সাইবার অপরাধের শিকার প্রায় ষাট শতাংশই নারী। ভুক্তভোগীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইডি হ্যাকড হওয়ার মধ্যে ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশই নারী। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২৩’এর প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে টাকা না দিলে অন্তরঙ্গ ছবি/ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গত কয়েক বছরে পুরুষের তুলনায় নারী ভুক্তভোগীর সংখ্যা চার গুণের বেশি, তবে আইডি হ্যাকের শিকার হয়েছেন বেশিসংখ্যক পুরুষ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে বেশিরভাগ ভুক্তভোগীর আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কিত সঠিক ধারণা নেয়। অধিকাংশ ঘটনায় আইনের আশ্রয় থেকে বিরত থাকেন ভুক্তভোগীরা। তবে যারা আইনের আশ্রয় নেন তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ আইনি ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট নন। এছাড়া দেশের মধ্যে সাইবার অপরাধে ঢাকা শীর্ষে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া, ছবি বিকৃতি করে অপপ্রচার, মানসিক হয়রানি, যৌন হয়রানি, সম্মানহানির জন্য অনলাইনে ও ফোনে হুমকি দিন দিন বাড়ছে। যা সাইবার বুলিং নামে পরিচিত। এই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে দেশে অনেক নারী আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ পথ বেছে নিচ্ছেন। বিশেষ করে মেয়েরা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এসব ঘটনায় পরিচিতজনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী হওয়ার প্রবণতা বেশি হওয়ায় কাছের মানুষদের বিশ্বাসে নারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সাইবার স্পেসে ভিক্টিমাইজ হওয়া একটি মেয়ের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। পরিসংখ্যান বলছে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভিক্টিমাইজেশন এর শিকার হয় তাদের খুব কাছের মানুষের মাধ্যমে। তাই শুধু সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখাই নয় সবার উচিত বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে একজন আরেকজনের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। - অপরাধ বিশেষজ্ঞ মোছা: নুরজাহান খাতুন
সম্প্রতি দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার নওরীন আফরোজ পিয়ার নামে একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আলোচিত এই ইউটিউবারের দাবি, ডিপ ফেক টেকনোলজি ব্যবহার করে ভিডিওটি বানানো হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে অবিকল নওরীনের মতো এক নারীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়।
নওরীন আফরোজ পিয়া এ বিষয়ে বলেন, কোনো ধরনের সত্যতা যাচাই ছাড়ায় ফেক ভিডিওটির সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে গেছে। প্রায় সবখানে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। যা আমাকে রীতিমতো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার পর আমাকে ইমেইল পাঠিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। বিশাল অঙ্কের অর্থও দাবি করেছে। সেই সাথে সংঘবদ্ধ চক্রটি ভুয়া ভিডিওটি নিয়ে ইউটিউব এবং ফেসবুকে আমাকে নিয়ে মিথ্যা কনটেন্ট প্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: এবার সংবাদকর্মীদের জন্য এআই প্রযুক্তি আনছে গুগল
মূলত ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রাইভেট ম্যাসেজিং চ্যানেলে একটি শক্তিশালী এআই বট ব্যবহার করে দেশে নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডিপ ফেক ভিডিও। ডিপ ফেক ভিডিওতে চেহারার এতোই মিল থাকে যে ভুক্তভোগীকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবেও হেয় হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার কারণে ভুক্তভোগীরা আত্মহত্যায় প্ররোচিত হতে পারেন বলে মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে ডিপ ফেক টেকনোলজি ব্যবহার করে তৈরি আরও অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে আছেন সেলিব্রেটি, রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়, সাংবাদিক এবং তরুণ-তরুণীরা। এই প্রযুক্তির ভয়ংকর অপব্যবহার করছেন সাইবার অপরাধীরা। তারা নগ্ন বা অর্ধনগ্ন ভিডিওতে টার্গেটকৃত ব্যক্তির মুখমণ্ডল বসিয়ে প্রতারণায় লিপ্ত হচ্ছেন। গবেষণা মাধ্যম সাইবার নিউজ বলছে, এমন ডিপফেক কন্টেন্টের সংখ্যা প্রতি ছয় মাসে দ্বিগুণ হচ্ছে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও শেয়ার এড়াতে বলছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
এবছরের মাঝামাঝিতে দেশের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে প্রায় ৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। এর আগে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা ঘটে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে।
এই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ফেসবুক, ইউটিউব বা টুইটারের মতো সাইটের নিয়ন্ত্রণ নেয়াও সম্ভব হচ্ছে। খুব সম্প্রতি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে পরিচালিত ভুয়া একাউন্টগুলো এমনভাবে পরিচালিত হয় যে তাদের বিশ্বাস না করার কোন কারণ থাকে না। ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. মো. ইসতিয়াক আহমেদ তালুকদার বলেন, আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত যেখানে ঠিকভাবে মৌলিক চাহিদা ও অধিকার, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা হয়নি সেখানে এ ধরনের প্রযুক্তি আরো বড় ধরনের সমস্যা করবে। এ প্রযুক্তি যদি অশিক্ষিত বা নীতিহীন মানুষের কাছে চলে যায় তবে তাদের অজান্তেই তাদের দ্বারা এ সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটিত হয়ে যাবে এবং হচ্ছেও। বিশেষ করে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের জন্য এআই প্রযুক্তি খুবই মারাত্মক হবে। এই সমস্যা থেকে বের হতে হলে দেশের কার্যকর আইন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রযুক্তি নির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রনে পুলিশে ডিআরআইএমএস, সিআইএমএস, এসআইভিএস, ফেস ম্যাচিং, সিআইএ ল্যাব, আইপি ট্র্যাকার, সাইবার বুলিং অ্যান্ড ক্রাইম মনিটরিং সিস্টেম, ওয়ান স্টপ সার্ভিস, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সিসিটিভি মনিটরিং সিস্টেম, হ্যালো সিটি অ্যাপ, সিডিএমএস ও পিআইএমএস সহ অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০২০ সাল থেকে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ইউনিট কাজ করছে।
একইসঙ্গে সাইবার সম্পর্কিত অপরাধ দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ নবায়ন করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রণয়নে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে সরকার। যাতে করে ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত জালিয়াতি, কম্পিউটার সিস্টেমে অনধিকার প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ এবং বিভিন্ন সংস্থার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও তার নিরাপত্তাজনিত নীতিমালা প্রণয়ন ও তদারকি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। এতে হ্যাকিং সম্পর্কিত অপরাধ নামে নতুন ধারাও সংযোজন করা হয়েছে। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে অনধিক ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
তবে গত ৫ বছরে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে প্রায় ৭ হাজার মামলার মধ্যে খুব অল্প মামলাতেই অপরাধ প্রমাণিত হয়ে অপরাধীর সাজা হয়েছে। তাই নতুন আইন তেমন পরিবর্তন না হওয়ায় এআই জনিত সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রনে আইনটির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বর্তমানেই একে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার যদি এআই নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন নতুন আরো নীতিমালা তৈরি করেও, ততদিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভুয়া তথ্যের বন্যায় যেমন ভরে যাবে তেমনি এর সক্ষমতাও বেড়ে যাবে বহু গুণ।
দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্যমতে, দেশের অভ্যন্তরীন সাইবার সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যা উদঘাটন করার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। বর্তমানে সিআইডিসহ পুলিশের অন্যান্য শাখায় উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। তবে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। প্রাইভেট বিষয়কে প্রাইভেট রাখায় শ্রেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজার হাজার অপরিচিতজনের সামনে ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি কিংবা ভিডিও প্রচার থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি গাণিতিক পদ্ধতি যা বিভিন্ন স্তরের কৃত্রিম নিউরনের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে বের একটি যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, সেটিকে চিন্তা, বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা প্রদান করে থাকে।