ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ— যা বলছেন ভবনের কর্মচারীরা

ধানমন্ডির এই ভবনেই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে
ধানমন্ডির এই ভবনেই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে  © সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি ১৫ নম্বরের ‘এ এমএম’ টাওয়ারে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের আগে ওই ছাত্রীকে মারধরও করা হয় বলে জানিয়েছেন ভবনটির কর্মচারীরা।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার ভুক্তভোগী ছাত্রীর সাথে অভিযুক্ত তরুণের পরিচয় হয়। এরপর মেয়েটিকে অভিযুক্ত ছেলেটি ‘এ এমএম’ টাওয়ারের সপ্তম তলায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। ধর্ষণের পূর্বে ওই ছাত্রীকে মারধর করা হয়। 

ভবনটির কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ভবনটিতে খাবারের দোকানসহ একাধিক দোকান থাকায় সেখানে তরুণ-তরুণীদের আনাগোনা লেগেই থাকে। সোমবার স্বাভাবিকভাবেই ওই তরুণ-তরুণী ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর লিফটের সাহায্যে সাত তলায় চলে যান। 

এ এমএম ভবনের সিকিউরিটিগার্ড জানান, সাত তলার যে স্থানে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সেটা মূলত পরিত্যাক্ত জায়গা। সেখানে নষ্ট হওয়া মালামাল রাখা হয়। সোমবার সেখানে তরুণ-তরুণী উঠেছিল। সেখানে তরুণীকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমি নিজে কিছু দেখিনি।

জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ওই ছাত্রীকে প্রথমে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হসপিটালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হসপিটালের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, সন্ধ্যায় ৭টার দিকে এক তরুণী আমাদের এখানে আসেন। তিনি জানান তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যেহেতু এটা অপরাধ তাই আমরা তাকে ভর্তি নেইনি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।

তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ১৫ নম্বর এলাকার ৩/এ নম্বরের একটি ভবনের ছাদে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী নিজে থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠাই।

ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে পারভেজ ইসলাম বলেন, ভিকটিম জানায় অভিযুক্ত ছেলেটির সঙ্গে তাঁর গতকালই পরিচয় হয়। এরপর ছেলেটি তাঁকে ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এদিকে ভবনটির সিসিটিভি ফুটেজে দেখে দুজনকে আগে থেকে পরিচিত মনে হয়েছে। তাঁরা স্বাভাবিকভাবে ভবনে প্রবেশ করেছেন।

পারভেজ ইসলাম আরও বলেন, মেয়েটির বাসা মোহাম্মদপুর এলাকায়। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। আমরা তার পরিবারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি গতকাল তিনি রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে আসেন। তার বাবা থানায় একটি মামলা দায়ের করছেন। তবে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত ছেলেটির নামটি বলছেন না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence