জুয়ার সাইট চালিয়ে শত কোটি টাকার মালিক কলেজছাত্র রাতুল!

রাতুল
রাতুল   © সংগৃহীত

সবেমাত্র কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। চলতি বছরেই বসবেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। আর এরই মধ্যে বনে গেছে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। রাজধানীর সিটি কলেজের ছাত্র রাতুল অনলাইন জুয়ার সাইট চালিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

অবৈধ পথে শতকোটি কামানো রাতুলসহ তিন জনকে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্য দুই জন হলেন মুন্না ও ইয়াসিন। তাদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কোটি টাকার মালিক রাতুলের রয়েছে সিভিক প্রাইভেট কার, প্রিমিওর মতো গাড়ি। আর মোটরবাইক রয়েছে ডজনের বেশি। সেগুলো আর ফিফটিন তো অবশ্যই। আইফোন-১৪-এর সর্বশেষ মডেলও তার হাতে। গ্রামের বাড়িতে বাবাকে কিনে দিয়েছেন চারটি ভেকু। 

আরও পড়ুন: জবিতে ৪৩ হাজার আবেদন, জানা গেল মেরিট লিস্ট প্রকাশের তারিখ

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইমের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত তিন জনের বাইরে রয়েছে আরো দুই জন। এরা হলো নবাব ও মুকুল। এদের আটক করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, পাবনা জেলার আমিনপুর থানার বাঁশতলা গ্রামের আজিবুর রহমানের ছেলে রাতুল। সে মেলবেট নামক একটি অনলাইন জুয়ার বাংলাদেশি মূল এজেন্ট। এছাড়াও আরো কয়েকটি জুয়ার সাইট পরিচালনা করে। সে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বাবা সামান্য মুহুরির কাজ করে। কিন্তু সে ৫০ লাখ টাকা দামের প্রাইভেট কারে চলাফেরা করে। তার তিনটি আর-১৫ ভার্সন মোটরবাইক আছে। যার একেকটির মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। তার বড় ভাইকে তিনটি এক্সকাভেটর (মাটি কাটা মেশিন) কিনে দিয়েছে। সুবাস্তুতে কয়েক কোটি টাকার পার্টনারশিপে একটা বিদেশি পণ্যের শোরুমের কাজ করছে। থাকে ধানমন্ডির এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে। তার ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোনের একেকটির মূল্য প্রায় ২ লাখ বা তারও বেশি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, রাতুল সম্প্রতি আজারবাইজানের একটা জুয়া কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা মূল্যের এজেন্সি ক্রয়ের আলোচনা করছে এবং পরীক্ষা শেষ করে আজারবাইজান যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রাতুল তার বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত। অনলাইন গেইমের মাধ্যমে অন্তত কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডলার বিজনেসের মাধ্যমে এ টাকা বিদেশে পাচারও করে।


সর্বশেষ সংবাদ