২০১৩ ও ২০১৮ স্মৃতি ফেরানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

বাংলাদেশ দল
বাংলাদেশ দল   © সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ে কাছে প্রথম টেস্ট ৩ উইকেটে হেরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ হারের শঙ্কায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিরিজ হারের লজ্জা এড়াতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে জিততেই হবে টাইগারদের। 

তবে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও সমতায় শেষ করার সমীকরণ মেলানো বাংলাদেশের কাছে নতুন কিছু নয়। অতীতে দু’বার জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও সিরিজ সমতায় শেষ করতে পেরেছিল টাইগাররা। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে সিরিজের শুরুতে পিছিয়ে পড়েও শেষপর্যন্ত সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। 

২০১৩ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সফরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ৩৩৫ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। হারারে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা ফুটে উঠেছিল। দুই ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ৩৮৯ ও ২২৭ রানের জবাবে ১৩৪ ও ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছিলেন জহুরুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। 

কিন্তু সিরিজ হার এড়াতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জ্বলে উঠে বাংলাদেশ। ব্যাটার-বোলারদের পারফরম্যান্সে ১৪৩ রানে ম্যাচ জেতে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের ৮১, নাসির হোসেনের ৭৭ ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ৬০ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রান করে সফরকারীরা। 

এরপর পেসার রবিউল ইসলাম ও স্পিনার সোহাগ গাজীর বোলিং তোপে ২৮২ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। রবিউল ৫ ও সোহাগ ৪ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংস থেকে ১০৯ রানের লিড পায় টাইগাররা। বড় লিড সঙ্গে নিয়ে ৯ উইকেটে ২৯১ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়েকে ৪০১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ।

জবাবে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার অনবদ্য ১১১ রানের পরও ২৫৭ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ৩ ও জিয়াউর রহমান ৪ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের হয়ে মুশফিক ৯৩, নাসির অপরাজিত ৬৭ ও সাকিব ৫৯ রান করেন। ম্যাচসেরা হন মুশফিক। পিছিয়ে পড়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। 

২০১৮ সালের নভেম্বরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টেই ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪৩ ও ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে আরিফুল হক সর্বোচ্চ ৪১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনার ইমরুল কায়েস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। 

মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট-বল হাতে ভিন্ন এক বাংলাদেশকে দেখা যায়। ব্যাটার-বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে ২১৮ রানের বড় ব্যবধানে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ২১৯ ও মুমিনুল হকের ১৬১ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। 

জবাবে দুই স্পিনার তাইজুল ইসলামের ৫ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ৩ উইকেটে ৩০৪ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এতে ২১৮ রানের বড় লিড পায় টাইগাররা। 

এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংসের কল্যাণে ৬ উইকেটে ২২৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ৪৪৩ রানের টার্গেটে ২২৪ রানে জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয়। বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট নেন মিরাজ। ২০১৩ সালের পর ফের সিরিজে পিছিয়ে পড়ে ১-১ সমতায় শেষ করেছিল টাইগাররা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence