‘বিয়ারিং প্যাড’ কী, মেট্রোরেল ছাড়া আর কোথায় কোথায় এটি ব্যবহার করা হয়?
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১০ PM , আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৮ PM
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারের একটি ‘বিয়ারিং প্যাড’ খুলে পড়ে গেছে। এ ঘটনায় নিচে থাকা আবুল কালাম (৩৫) নামে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। ওই পথচারী বাড়ি শরীয়তপুরে। এ ঘটনার পর আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের এসব ‘বিয়ারিং প্যাড’ থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন আনুমানিক ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব ‘বিয়ারিং প্যাড’ ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্যই ঘটনার পর মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেলে একটি ‘বিয়ারিং প্যাড’ খুলে পড়ে। এ কারণে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার ‘বিয়ারিং প্যাড’ খুলে পড়েছে।
জানা যায়, মেট্রোরেলের উড়ালপথ নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ‘বিয়ারিং প্যাড’। বিশেষ ধরনের রাবার দিয়ে তৈরি এ প্যাড বসাতে হয় পিয়ার ও ভায়াডাক্টের (উড়ালপথ) সংযোগস্থলে। রাজধানীর মেট্রোরেলেও এটি ব্যবহার করা হয়েছে।
শুধু মেট্রোরেল নয়, সাধারণত বড় সেতু বা ফ্লাইওভারেও ব্যবহার করা হয় ‘বিয়ারিং প্যাড’। পিয়ারের সঙ্গে উপরের কাঠামো জোড়া দেওয়ার সংযোগস্থলে বসানো হয় এটি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ‘বিয়ারিং প্যাড’ অনেকটা কুশনের মতো কাজ করে। সেতু বা ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে যখন কোনো গাড়ি বা যানবাহন চলে, তখন এর চাপ সরাসরি পিয়ারে না এসে পড়ে ‘বিয়ারিং প্যাড’-এর ওপর। ‘বিয়ারিং প্যাড’-এর কাজ হলো এ ভার পুরো পিয়ারের ওপর ছড়িয়ে দেয়। ফলে সেতু বা ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচলের সময় কোনো ধরনের ঝাঁকুনি হয় না বা হলেও খুব কম।
ঝাঁকুনি প্রতিরোধের পাশাপাশি সেতু বা ফ্লাইওভারকে টেকসই করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ‘বিয়ারিং প্যাড’। দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে সেতু বা ফ্লাইওভারের অবকাঠামোর যে ক্ষয় হয়, ‘বিয়ারিং প্যাড’ সেটিকেও প্রতিরোধ করে।