বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও উদ্বেগ কাটেনি: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৪৩ PM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৪২ PM
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট) জানিয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে অভ্যুত্থান এবং আগস্টের সহিংস ঘটনাবলীর পর থেকে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও কিছু গুরুতর উদ্বেগ এখনও রয়ে গেছে।
‘২০২৪ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস: বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের সরকারের আমলে নানা ধরনের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ছিল—বেআইনি বা নির্বিচার হত্যা, গুম, নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ, অযৌক্তিক গ্রেপ্তার বা আটক, বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দমন–পীড়ন, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা হুমকি, অযৌক্তিক মামলা ও সেন্সরশিপ।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকার সীমিত করা, শ্রমিক নেতা ও ইউনিয়ন সদস্যদের ওপর হামলা–হুমকি এবং শিশুশ্রমের ভয়াবহ রূপও পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে ছিল লক্ষণীয়। এ সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত সরকারি কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত ও শাস্তি দিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘটনা ছিল বিরল, ফলে দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেন রশিদ খান
গত বছরের ৫ আগস্ট সপ্তাহব্যাপী ছাত্র আন্দোলন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। তিন দিন পর, ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতি নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ করিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন।
এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত একাধিক সাবেক মন্ত্রী ও নেতাকে গ্রেপ্তার করে। প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, জুলাই ও আগস্টে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয়ই ব্যবহার করেছে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে।