একাদশের শিক্ষার্থীরা ‘না বুঝে’ আবেদন করেছে: চেয়ারম্যান

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১ লাখ ১৯ হাজার আবেদনকারী প্রথম ধাপে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১ লাখ ১৯ হাজার আবেদনকারী প্রথম ধাপে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন  © ফাইল ছবি

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রকাশিত প্রথম ধাপের ফলে নাম আসেনি ১২ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থীর। জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে পারেননি তারা। একই সঙ্গে ১ লাখ ১৯ হাজার আবেদনকারী প্রথম ধাপে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ভর্তির মনোনয়ন না পাওয়া শিক্ষার্থীদের আবেদন পর্যালোচনা করে যা দেখেছি তারা না বুঝে আবেদন করায় সুযোগ হয়নি।

কলেজ না পাওয়া সবাই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ৪ হাজার ৯০৫ জন, কুমিল্লা বোর্ডের ১ হাজার ৪৩৮ জন, রাজশাহীর ১ হাজার ৮০৩ জন, যশোর বোর্ডের ২৭৫ জন, চট্টগ্রামের ৬৬৬ জন, বরিশালের ৪৯৬ জন, সিলেট বোর্ডের ৮৩, দিনাজপুরের ১ হাজার ৫৬৪, ময়মনসিংহ বোর্ডের ৫৮৫, মাদরাসা বোর্ডের ১৬৫ ও কারিগরি বোর্ডের ৭ জন।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, কোনো কোনো জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী হয়তো ১ হাজার নম্বর পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তার পছন্দ তালিকায় রাজধানীর নামী কলেজ নির্বাচন করেছেন। এখন ঢাকা কলেজকে তিনি ওই তালিকায় রেখেছেন। ঢাকা কলেজে সর্বশেষ শিক্ষার্থী যে ভর্তির মনোনয়ন পেয়েছেন দেখা গেছে তার মোট নম্বর হয়তো ১ হাজার ১০০ বা তার বেশি। যিনি ১ হাজার নম্বর পেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি তাই সুযোগ পাননি।

গত ২৯ জানুয়ারি একাদশ শ্রেণির ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারাদেশে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৩ জন আবেদন করে। সেখান থেকে প্রথম ধাপে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। আবেদনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা যেসব কলেজ নির্বাচন করেছে, তার মধ্য থেকেই ফলাফলের ভিত্তিতে তারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ পেয়েও ভর্তির সুযোগ পায়নি ১২ হাজার শিক্ষার্থী

তিনি বলেন, আসন সীমিত থাকায় ও ভালো মানের কলেজগুলোতে বেশি আবেদন হওয়ায় এক লাখ ১৯ হাজার আবেদনকারী প্রথম ধাপে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তার মধ্যে জিপিএ-৫ ধারী ১২ হাজার ১৬০ জন ভর্তির সুযোগ পায়নি।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ভর্তিচ্ছুদের চয়েস অর্ডারে সমস্যা ছিলো। দশটি কলেজ চয়েস দেওয়ার সুযোগ থাকলেও অনেকেই মাত্র পাঁচটি দিয়েছেন। নম্বর কম হলেও কেউ কেউ টপ অর্ডারের পাঁচটি কলেজ চয়েস দিয়েছেন অথচ সেই কলেজগুলোর জন্য তাদের নম্বর নেই।

প্রথম ধাপের আবেদনে মনোনয়ন বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক নেহাল বলেন, না বুঝে চয়েস না দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বিবেচনা করে ভর্তির চয়েস দেয়াটাই দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের ক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ। কোনো শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের আগে বিবেচনা করতে হবে সে কত নম্বর পেয়েছে।

‘‘কোন কলেজে কত সিট আছে সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া যেতে পারে। সে কলেজে কত নম্বর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তির মনোনয়ন পাচ্ছেন সে বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে চয়েস লিস্ট দেখে মনে হয়েছে কম্পিউটার দোকানি শিক্ষার্থীদের হয়ে চয়েস দিয়েছেন। এমন না করে বুঝে শুনে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে।’’

তিনি আরও বলেন, আগে একাদশে ভর্তি নিয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া যেত। এবার অভিযোগ অনেক কম। অনেকে নিজেরাই বুঝতে পেরেছেন ভালো ফল করেও কেনো তারা মনোনয়ন পাননি। আবার মাইগ্রেশন হওয়ায় কিছু সিট ফাঁকা হয়েছে। সব বিবেচনায় নিয়ে আবেদন করলে এসব শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে মনোনয়ন পাবেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence