কীভাবে গভীর গর্তে পড়েছিল শিশু সাজিদ, জানালেন মা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫১ AM , আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫২ AM
রাজশাহীর তানোরে মা রুনা খাতুনের সঙ্গে মাঠে খেলতে গিয়ে দুই বছরের শিশু সাজিদ একটি গভীর গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়ে গেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামের রাকিবের ছেলে।
শিশুটির মা রুনা খাতুন জানান, বেলা একটার দিকে দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠে যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ ‘মা’ বলে ডাক শুনে পেছনে তাকালেও ছেলে তখন পাশে নেই—গর্তের ভেতর থেকে ডাকছিল। খড়ের নিচে লুকানো প্রায় ৪০ ফুট গভীর গর্তটি বুঝতে না পেরে শিশুটি সেখানে পড়ে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার ডাক ক্ষীণ হয়ে আসে এবং একসময় পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজারো মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। এতে উদ্ধার কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে বলে প্রশাসন জানায়। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স ও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারে কাজ করছে। গর্তে আলো ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে, যাতে শিশুটি বেঁচে থাকার শক্তি ধরে রাখতে পারে। পাশেই স্কেভেটর দিয়ে খননকাজ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে জমির মালিক কছির উদ্দিন সেচের জন্য এই গর্ত খনন করেছিলেন। পানি না মেলায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায় এবং গর্তটি বিপজ্জনকভাবে খোলা অবস্থায় রয়ে যায়। আজ সেই অবহেলাই শিশুটিকে বিপদের মুখে ফেলেছে।
এদিকে ১৮ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার করা যায়নি শিশু সাজিদকে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যায়, তখনও ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শিশুটিকে উদ্ধারের।
অবস্থান শনাক্ত করতে ফায়ার সার্ভিস সেই গর্তে বিশেষ ক্যামেরা পাঠায়। তবে ক্যামেরা ৩৫ ফুট গভীরে পৌঁছার পর আটকে যায় এবং শিশুটিকে দেখা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, সাজিদ সম্ভবত ৪০ ফুট নিচে আটকা পড়েছে। তাই উদ্ধার পরিকল্পনা অনুযায়ী, যেখানে সাজিদ পড়েছে সেই গর্তের পাশে রাতভর তিনটি এক্সকেভেটরের মাধ্যমে পুকুর খননের মতো গভীর গর্ত তৈরি করা হয়েছে। তবে এখনো কোনও খোঁজ পায়নি শিশুটির।