প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় সহকারী শিক্ষককে হত্যার হুমকি
- গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৮ PM
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুর্নীতি ও নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি ঢালীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করায় গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক সুশান্ত মালাকার প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে টুঙ্গিপাড়া সাংবাদিক অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন সুশান্ত মালাকার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুশান্ত মালাকার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি ঢালী ২০১৪ সালে গণিত বিষয়ে সুশান্ত ও বাংলা বিষয়ে শিক্ষক উৎপলা বিশ্বাসের বৈধ নিয়োগকে অবৈধ করার চক্রান্ত করছেন। কারণ উৎপলা বিশ্বাসের জায়গায় মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে সুতৃষ্ণা বর নামে এক নারীকে নিয়োগ দিয়েছেন। যা নিয়ে ২০২২ সালে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। এর আগে সুতৃষ্ণা নামের শিক্ষিকাকে কেউ না চিনলেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রধান শিক্ষক তাকে বিদ্যালয়ে যোগদান করান। তারপর থেকে উৎপলা বিশ্বাসের জায়গায় ভুয়া রেজুলেশন করে সুতৃষ্ণার নিয়োগ পাকাপোক্ত করতে চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে আমাদের বৈধ নিয়োগ অবৈধ করতে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেছেন।’
সুশান্ত মালাকার বলেন, ‘এ ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। তারপর থেকে প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি ঢালী আমাকে ভয়ভীতি ও মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া সত্যকে আড়াল করতে প্রধান শিক্ষক গত ৩০ অক্টোবর আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন, যার কোনো সত্যতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়ে যে অভিযোগ করেছি, তা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হলে প্রশাসন ও জনগণ আমাকে যে শাস্তি দেবে তা মাথা পেতে নেব। আর প্রধান শিক্ষক যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
এ বিষয়ে জানতে ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি ঢালীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি গ্রহণ করেননি।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’