তুরাগ নদীতে ডুবে প্রাণ গেল স্কুলছাত্র সামিউলের
- গাজীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ PM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪২ PM
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদীতে ডুবে মারা গেছে সামিউল (১১) নামে এক স্কুলছাত্র। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানের পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সামিউল টঙ্গীর মুদাফা পশ্চিমপাড়ার সোহেল মজুমদারের ছেলে। সোহেল স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে অপারেটর হিসেবে কাজ করেন এবং মা শামসুন্নাহার গৃহিণী। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ভাড়া থাকছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে সামিউল বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তবে বাবা তাকে নিষেধ করেন। পরে ফুফাতো ভাই ইয়াসিনকে সঙ্গে নিয়ে সামিউল নদীর দিকে যায়। সেখানে আরও কয়েকজন কিশোর সাঁতার কাটতে নামে। এ সময় পানির তীব্র স্রোতে সামিউল ভেসে যায়। অন্যরা তীরে উঠতে পারলেও সে আর ফিরে আসেনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে সাড়া ফেলেছে দুই দিনব্যাপী 'ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প'
প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধার চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হন। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শাহিন আলম বলেন, ‘সকাল থেকে অভিযান চালানো হয়। তিন ঘণ্টার চেষ্টার পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
হঠাৎ এ মৃত্যুতে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামিউলের মা, বাবা ও বড় বোন বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। সহপাঠী ও প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কেউই তা মেনে নিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তবে পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, তুরাগ নদীর বিভিন্ন অংশে প্রতিদিন শিশু-কিশোররা সাঁতার কাটতে নামে। কিন্তু কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। চলতি মাসেই সামিউলসহ দুই শিশু নদীতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী শিশুদের নদীতে নামা নিষিদ্ধ করা কিংবা নিরাপদ সাঁতারের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।