শাবিপ্রবিতে সাড়া ফেলেছে দুই দিনব্যাপী 'ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প'
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৭ PM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৯ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনব্যাপী ‘ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প’। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে স্টুডেন্ট এইড সাস্ট-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ স্বাস্থ্য ক্যাম্পে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের উপস্থিতিও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের নিচতলায় ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ছেলেদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন।
ক্যাম্পে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও ইবনে সিনা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা শিক্ষার্থীদের সেবা দেন। ছেলে শিক্ষার্থীরা মেডিসিন, চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি, ডায়াবেটিস ও বাত রোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পান। আর মেয়ে শিক্ষার্থীরা স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ, সার্জন, ডেন্টাল সার্জন, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সেবা নেন।
এ ছাড়া সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস টেস্ট, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম এবং প্রাথমিক ওষুধ সরবরাহও ছিল এ ক্যাম্পে।
আরও পড়ুন: ৪৭তম বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখুন এখানে
স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা শিক্ষার্থী ফাতেমা বলেন, ‘আমরা অনেকেই আর্থিক সমস্যার কারণে বা সময়ের অভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে পারি না। ক্যাম্পাসে এমন আয়োজন আমাদের জন্য অনেক উপকারী।’
আরেক শিক্ষার্থী ঊর্মিলা জাহান বলেন, ‘ছাত্র সংগঠনগুলোর উচিত শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে কাজ করা। এই আয়োজন আমাদের উপকৃত করেছে।’
স্টুডেন্ট এইড সাস্ট-এর আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনে মেয়েদের অংশগ্রহণে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।’
সংগঠনের সভাপতি মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুবিধা নেই। তাই আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
স্বাস্থ্য ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সংগঠনগুলো কাজ করবে এবং প্রশংসিত হবে—আমরা তাই প্রত্যাশা করি। এ ধরনের কল্যাণমূলক কার্যক্রম আরো বেশি হওয়া দরকার।’