ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে যশোর বিক্ষোভ

গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল
গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল  © টিডিসি

ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। 

শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে চৌরাস্তা মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। তারপর মিছিলটি শহরের চিত্রামোড়, দড়াটানা, ভৈরব চত্বরসহ বিভিন্ন সড়কে প্রদক্ষিণ করে।

মিছিলে অংশ নেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি মিয়া আব্দুল হালিম, এনসিপির সংগঠক নুরুজ্জামান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক শোয়াইব হোসেন, যশোর জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমডি আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ সম্পাদক মফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক রাশিদুর রহমান নিউটন, দপ্তর সম্পাদক পারভেজ মাহিন, প্রচার সম্পাদক এহসানুল করিম হিলেম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাওন রহমান, সদর উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক শাকিল মল্লিক টিপু, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শাহাবুদ্দিন শান্ত, শ্রমিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মুরাদ, যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আপন মাহমুদ মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা যশোর জেলা জাতীয় পাটির অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিল করার দাবি করেন। বিক্ষোভকারীরা ‘আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সে পথে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত লাল, ওয়াকার কোন চ্যাটের বাল’, ‘নুরের হামলা কেন প্রশাসন জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। বিক্ষোভে গণঅধিকার পরিষদের পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন।

এ সময় নেতারা বলেন, ‘নুরুল হক নুরের ওপর হামলা একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রশাসনের সহযোগিতায় জাতীয় পার্টিকে ব্যবহার করে এ হামলা চালিয়েছে। এ হামলাকে তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে, তা ফ্যাসিবাদী আমলের পুনরাবৃত্তির শামিল। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের যোদ্ধা নুরের ওপর সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলার দায় সেনাপ্রধান ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে।’

বক্তারা দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জাতীয় পার্টিকে উদ্দেশ্য করে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এর মধ্যে কার্যালয়ের সামনে থাকা সব ব্যানার-ফেস্টুন সরাতে হবে এবং তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence