মানিকগঞ্জে পদ্মার চরাঞ্চল থেকে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার

রাসেলস ভাইপার
রাসেলস ভাইপার  © সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মার চরাঞ্চল থেকে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৬ জুলাই) সকালে চরাঞ্চলের সুতালড়ি ইউনিয়নের বালিয়াঘোপা গ্রাম সংলগ্ন পদ্মায় জেলের চায়না দোয়াড়ি জালে সাপটি ধরা পড়ে বলে ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. মিজানুর মৃধা জানান।

পরে সুতালড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেট সোহেল বিশ্বাসকে জানালে তিনি চরাঞ্চল থেকে সাপটি আন্ধারমানিক পদ্মাপাড় ট্রলারঘাটে নিয়ে আসেন।

এরপর সোহেল হরিরামপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতিকে জানালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং 'ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন' এর সভাপতি সৈয়দা অনন্যা ফারিয়াকে খবর দেন। পরে তারা সাপটি উদ্ধার করতে আসেন।

সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া বলেন, বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সাপটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সাপটি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেনম সেন্টারে নেওয়া হয়েছে বলে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রানী ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন।রাসেলস ভাইপারের প্রজনন সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্যান্য সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে রাসেলস ভাইপার সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো রাসেলস ভাইপার সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড আছে।

হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম মিয়া বলেন, রাসেলস ভাইপারের বিষ হেমোটক্সিন (যা প্রধানত রক্ত এবং রক্ত জমাট বাঁধার উপর প্রভাব ফেলে)। যার কারণে কামড় দিলে মানুষের মাংস পঁচে যায়।

তিনি বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপ কয়েক বছর আগে শুধু বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে পাওয়া গেলেও বর্তমানে এরা পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা ও চরগুলোতেও বিস্তার লাভ করেছে। সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ।


সর্বশেষ সংবাদ