ঈদে টানা ১০ দিন বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ
- বেনাপোল প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৪২ AM , আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৩৭ PM
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ সকল প্রকার বাণিজ্যিক কার্যক্রম টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে। আগামী ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হয়ে ১৪ জুন (শনিবার) পর্যন্ত এ ছুটি চলবে। ১৫ জুন (রবিবার) থেকে পূর্বের নিয়মে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে কাস্টমস কর্মকর্তারা এবং আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করতে ছুটিতে থাকবেন। ফলে ৪ জুন (বুধবার) বিকেল থেকেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে সরকারিভাবে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার ভিত্তিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সীমিত পরিসরে হলেও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যদিও ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ট্রাক চলাচল বন্ধ, দোকানপাট বন্ধ রাখা এবং শ্রমিকদের ছুটিতে থাকায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বন্দর ব্যবহারকারীদের মতে, দেশে বর্তমানে সক্রিয় ১২টি স্থলবন্দরের মধ্যে রাজস্ব আয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বেনাপোল। স্থল পথে পণ্য আমদানির প্রায় ৯০ শতাংশই হয় এ বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন এখানে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ ট্রাক ভারত থেকে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করে। বছরে গড়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে এই বন্দর থেকে। ইতোমধ্যেই বন্দরে পণ্যজট বিরাজ করছে, এরমধ্যে টানা ১০ দিনের ছুটিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিচালক মো. শামীম হোসেন জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি আনসার সদস্যরা নিয়মিত টহলে থাকবেন। বেনাপোল পোর্ট থানাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, “ছুটির সময় বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নজরদারি থাকবে।”
অন্যদিকে, ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ জানান, “ঈদের ছুটিতেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। তবে ভিড় বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় স্ট্যান্ডবাই ব্যবস্থায় কর্মকর্তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”