বরগুনায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ফেরি চলাচল বন্ধ
- বরগুনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ০৭:৩২ PM , আপডেট: ৩০ মে ২০২৫, ১১:১৫ AM
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বরগুনার নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং বড়ইতলা ফেরিঘাট সংলগ্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে জেলার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সদর, পাথরঘাটা, বামনা ও আমতলীর বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুর থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, যা রাতের দিকে আরও বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
বড়ইতলা গ্রামের বাসিন্দা সজীব দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বছরের প্রায় প্রতিটি দুর্যোগেই আমরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। পাশের খাল দিয়ে পানি ঢুকে গ্রাম প্লাবিত হয়। আজকের জোয়ারে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এখন রাস্তার পাশে কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছি, খাবারও কিছু নেই।’
ফেরিঘাটে আটকে পড়া পাথরঘাটার ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে কাজে বরগুনায় আসছিলাম। এসে দেখি ফেরিঘাটে কোমরসমান পানি। ফেরি বন্ধ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পার হতে হবে।’
স্থানীয় দোকানদার সিদ্দিক জানান, ‘অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে আমার দোকানসহ আশপাশের সব দোকান ডুবে গেছে। যদি ঘূর্ণিঝড় আসে, তাহলে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। শুনছি, রাতে পানি আরও বাড়তে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতোমধ্যে নদীবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কিছু এলাকায় গাছ ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে। শুকনো খাবার মজুত আছে এবং প্রয়োজনে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে।’