মাদারীপুরে ১০ দফা দাবিতে তেল পাম্প বন্ধ, বিপাকে ক্রেতারা
- মাদারীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ০২:০০ PM , আপডেট: ২৫ মে ২০২৫, ০৪:২৫ PM
মাদারীপুরে ১০ দফা দাবিতে ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানী তেল বিক্রি বন্ধ করেছে বাংলাদেশ পেট্টোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। রবিবার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলার বৈধ ১৬টি পেট্টোল পাম্পে এ কার্যক্রম পালন করা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন তেল নিতে আসা ক্রেতারা।
জানা গেছে, জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন নূন্যতম শতকরা ৭ টাকা, সওজের জমি ইজারা সহজ করা, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদফতর থেকে লাইগে সেন্স বাতিল, ট্যাংকলরি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তিতে হয়রাণী বন্ধসহ ১০ দফা দাবি তুলেন মালিক পক্ষ। এ সময় ফিলিং স্টেশনগুলোতে অকটেন, পেট্টোল, ডিজেল, কোরোসিনসহ জ্বালানী তেল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়। এতে জেলার ১৮টি বৈধ পাম্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের এ সময় অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। তেল কিনতে এসে বিড়ম্বনা আর ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।
মোটরসাইকেল চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মোটরসাইকেলে তেল না থাকায় পাম্পে আসি। এখানে এসে দেখি পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ। এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি। তেল বিক্রি বন্ধ, এটা আগে থেকে জানানো উচিত ছিল। তাহলে ভোগান্তি হতো না।’
মাইক্রোবাস চালক কামরুল আকন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় মাইক্রোবাস নিয়ে যাই। জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের কারনে এখন বিপাকে পড়ে গেছি। যাত্রীদের নিয়ে দূরে যেতেও পারছি না।’
এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি ইউসুফ হাওলাদার জানান, ‘১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পেট্টোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ এ কর্মসূচির ডাক দেয়। এর ফলে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দাবি না মানা হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে সংগঠনের পক্ষ থেকে।’
উল্লেখ্য, জেলার ৫টি উপজেলায় বৈধ ১৬টি পাম্পে প্রতিদিন এক লাখ ৬০ হাজার লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি হয়। আর অবৈধভাবে খুচরা বাজারে তেল বিক্রির দোকানের সংখ্যা কয়েকশ।