ভাঙছে নদীর পাড়, বিলীন হওয়ার শঙ্কায় দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- বরগুনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ০৯:৪০ AM , আপডেট: ১৫ মে ২০২৫, ১১:৪৫ PM
বরগুনার সদর উপজেলার ডালভাঙ্গা গ্রামে নদীভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ডালভাঙ্গা বিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ডালভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিনিয়ত নদীর ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে দুটি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই শঙ্কার মধ্যে ক্লাস করছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে বিদ্যালয় দুটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, নদীপাড়ের বিপরীত দিকের বাইনচটকি এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো ভাঙনের একটি বড় কারণ। এসব ভাটার কারণে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে বিদ্যালয়ের পাশ ঘেঁষে।
একাধিক শিক্ষার্থী বলে, ‘আগে নদী অনেক দূরে ছিল। কিন্তু এখন ভাঙনের কারণে নদীটা আমাদের স্কুলের একেবারে কাছে চলে এসেছে।’
ডালভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘বিদ্যালয়টি যদি নদীগর্ভে চলে যায়, তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীদের আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে না।’
ডালভাঙ্গা বিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন চন্দ্র রায় বলেন, ‘এখানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে হয়তো বিদ্যালয়টি রক্ষা পাবে এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপদে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে।’
বিদ্যালয় রক্ষায় স্থানীয়রা ইতোমধ্যে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম বলেন, ‘ভাঙন রোধে আপাতত জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধান বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, বরগুনা জেলার প্রায় ৮০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধের মধ্যে ২০-২৫টি পয়েন্ট রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। বর্ষা মৌসুম আসলেই এসব পয়েন্টে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। তাই এলাকাবাসীর জোর দাবি, দ্রুত টেকসই বেরিবাঁধ নির্মাণ করে এসব অঞ্চলকে রক্ষা করতে হবে।