৩৫ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কবির বিন আনোয়ারের বৈঠক আজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩২ PM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯ PM
আজ সন্ধায় ৩৫ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে ৩৫ আন্দোলনের সভাপতি শরিফুল হাসান শুভ। সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হবার কথা রয়েছে।
গতকাল (৩ নভেম্বর) ৩৫ আন্দোলনকারীদের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান শুভ। পোস্টে তিনি উল্লেখে করেন, কবির বিন আনোয়ার স্যারের পিএস তোফায়েল ভাই এর সাথে আজকে মোস্তফা আমির ফয়সাল কথা বলেছেন এবং আগামীকাল( ৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডি পার্টি অফিসে সাক্ষাতের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন। এমতাবস্থায় ঢাকায় যারা অবস্থান করছেন তারা সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে চলে আসার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখবেন।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ৩৫ চাই আন্দোলনকারীরা। এ সময় চাকরি প্রত্যাশী এক নারী বিষপান করেন। বিষপান করা ওই নারীর নাম আয়শা সিদ্দিকা উর্মী (৩০)।
আরও পরুন: ঢাবির উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে যা বললেন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল
সেই সময় ৩৫ চাই আন্দোলনকারীদের সংগঠনের সভাপতি শরিফুল হাসান শুভ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আন্দোলনের এক পর্যায়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহ্ মাহমুদ ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিটিং করবেন এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সরকারের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তাই আমারা আমাদের কর্মসূচী এখন স্থগিত রেখেছি। আশানুরূপ কোন সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচী চালিয়ে যাব।
এরই প্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কবির বিন আনোয়ারের সঙ্গে বৈঠকটি হতে যাচ্ছে বলে জানান শুভ।
উল্লেখ্য, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজসহ অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো রয়েছে তীব্র সেশন জট। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে বের হতে হতে শিক্ষার্থীদের ২৮/২৯ বছর চলে যায়। এরপর মাত্র ২/১ বছর চাকরির বয়স নিয়ে তাদের পক্ষে আর ভালো চাকরি জোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো এখন সময়ের ন্যায্য দাবি বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা।