বইয়ের দিকে না ঝুঁকে শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে

  © টিডিসি ফটো

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বই পড়তেন। বইয়ের প্রতি তাঁর বেশ আগ্রহ ও ঝোঁক ছিল। তিনি বলেন, আজকাল শিক্ষার্থীরা বইয়ের দিকে না ঝুঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদেরকে বই পড়ার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যতই সোশ্যাল মিডিয়া বিকশিত হোক না কেন, বই থাকবে, গ্রন্থাগার থাকবে। বইয়ের আবেদন কখনো ফুরোবে না।

আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২০’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগার সমাজ উন্নয়নের বাহন। একটি জাতির মেধা, মনন, ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারণ ও লালনপালনকারী হিসেবে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বসাধারণের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রয়েছে। তাই গ্রন্থাগারকে বলা হয় ‘জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়’।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট যে শিক্ষা তা হল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সফলতার সহায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হল গ্রন্থাগার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হৃৎপিন্ড বলা হয়। গ্রন্থাগারে যত বেশি বই পড়বে ততবেশি ভাল মানুষ তৈরি হবে, আলোকিত মানুষ তৈরী হবে। আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগার বাতিঘর হিসেবে কাজ করে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, কোমলমতি শিশুদের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি ও বইমুখী করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষব্যাপী সারাদেশে রোডমার্চ ও রোডশো’র আয়োজন করা হবে। এ রোডমার্চে নেতৃত্ব দেবেন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইদ। তাছাড়া মুজিববর্ষে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারের সংখ্যা ৮০০ হতে ১০০০টিতে উন্নীত করা হবে। অধিকন্তু মুজিববর্ষকে সামনে রেখে ‘সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১০০০টি গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন' শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। মোদ্দাকথা, সাধারণ মানুষকে গ্রন্থাগার ও বইমুখী করার লক্ষ্যে যা যা করণীয় তার সবই করা হচ্ছে এবং হবে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আবদুল্যাহ হারুন পাশা। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি আলী আকবর।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচি ও শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রাটি গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণ হতে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর, কলাভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে চারুকলা অনুষদের সামনের দিক দিয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।


সর্বশেষ সংবাদ