একুশে বই মেলায় আসছে আরাফাতের দুটি বই
- রাকিব হাসান
- প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:০৭ PM , আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:০৭ PM
বছর ঘুরে আবারও ফেব্রুয়ারিতে জমবে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বিচারক ও কবি আরাফাত বিন আবু তাহেরের দুটি বই আসছে এবারের বইমেলায়। একটি হচ্ছে কবিতা বই ‘অলক্ষে পাখি পাখি’। আর অন্যটি গল্পগ্রন্থ ‘দারুণ গল্পের লোক’। এরইমধ্যে তৈরি হয়েছে প্রচ্ছদ। চলছে ছাপা ও বাইন্ডিংয়ের কাজ। বই দুটি বের হচ্ছে দেশ পাবলিকেশন্স থেকে।
মূল নাম ইয়াছিন আরাফাত। লেখালেখি করেন আরাফাত বিন আবু তাহের নামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের প্রাক্তন এ শিক্ষার্থী বর্তমানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত।
‘অলক্ষে পাখি পাখি’ কবির দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। কবির বাছাইকৃত ৬৫টি কবিতা স্থান পেয়েছে এ গ্রন্থে। বইটিতে পরিবেশ ও প্রকৃতির মনোরম ছবিকে শৈল্পিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তৈরী করা হয়েছে স্বপ্ন আর বাস্তবের মিশেল এক অভিনব জগত। ভিন্ন আঙ্গিকে মানব-মানবীর চিরন্তন লৌকিক মনোভাবকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে মৌলিকভাবে। গোধূলির ধূলি উড়া মুহূর্তগুলোর সাথে আলোর আভার মিশ্রণকে দেয়া হয়েছে ‘সোনালী জড়োয়া’র উপমা। ভালোবাসার দারুণ মিলনে কবিতার স্তবকগুলো উৎফুল্ল হয়ে ওঠার পাশাপাশি বিরূপ মনোমালিন্যের বিচ্ছেদ-বিরহে কেঁদেছে অশান্ত রকমে।
কবি বলছেন, ‘আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মনে মনে হেমন্তবনে’র চেয়ে এ বইটি ভিন্ন রকমের। চোখে দেখা নিত্য পদচারণার সত্য পরিণতির ব্যাপারগুলোকে শিল্পভঙ্গি দিয়েছি যত্নের সাথে। অধরা চাওয়া-পাওয়ার ব্যর্থতাসমূহ দুর্দান্ত কাব্যিক ব্যাখ্যায় হয়ে উঠেছে হৃদয় ছোঁয়া বিলাপের বহর। প্রতিটা স্তবকই হয়ে উঠেছে মানব-মানবীর সম্পর্কের ধ্রুপদী রূপান্তরের আশ্চর্য শব্দছবি। সমান প্রতিযোগিতায় প্রত্যেকটি কবিতাই আলাদাভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা— এটা আমার কথা। আসল কথা কবিতার পাঠকরাই বলতে পারবেন!
আগে কবিতার বই নিয়ে এলেও এবারই প্রথম গল্পের বই নিয়ে হাজির হচ্ছেন আরাফাত। ‘দারুণ গল্পের লোক’ গ্রন্থটি সাজানো হয়েছে ১৬টি গল্পে। প্রত্যেকটা গল্পই ভিন্নমাত্রায় দারুণ রকমের। মানুষের বর্ণিল জীবনের নানান গল্প আছে এখানে। সব গল্পই পেয়েছে স্বাভাবিক সমাপ্তি। লেখকের দৃঢ় প্রত্যাশা, বইয়ের সবগুলো গল্পই পাঠকদের নিকট অসাধারণ লাগবে।
লেখকের ভাষ্য— জগত চলে যাচ্ছে জগতের নিয়মে- ধীরে। মানুষও চলে যায়। কিন্তু মানুষের কথাগুলো থেকে যায়। জীবনের কথা কখনো শেষ হয় না। অনেক বলা কথা, অনেক না বলা কথা ঘুরে বেড়ায়। সে সব হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো কথাগুলো মাঝে মাঝে কণ্ঠ খুঁজে পায়; মাঝে মাঝে সে সব কথা সাহিত্যে গেঁথে যায় পাতায় পাতায় — গল্পকারেরা বলে যান গল্পমালা।