ঢাবি অধ্যাপকের নতুন বই ‘মুঘল ভারতের ইতিহাস’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৪০ PM , আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:৪৮ PM
মুঘল রাজবংশের উত্থান, বিকাশ, পতন এবং শাসকদের শাসনব্যবস্থার নানা বিশ্লেষন নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘মুঘল ভারতের ইতিহাস’ নামক গ্রন্থ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের লেখা এই বইটি প্রকাশ করেছে ইতিবৃত্ত প্রকাশন।
তথ্যমতে, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় দেড়শ’ বছর মোঘল রাজবংশ তাদের শাসন ক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখে। এ সময়ের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বড় রাজ্য ছিল এটি। গন্থটিতে ঐতিহাসিক মোঘল রাজবংশের শাসকদের শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, রাজনীতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে সেসববের সাবলীল বিশ্লেষণ করেছেন লেখক। পাঠক এতে মুঘলদের প্রশাসন, অর্থনীতি এবং সমাজ-সংস্কৃতির নানাদিক সম্পর্কে জানতে পারবে। গ্রন্থে বাবর থেকে আওরঙ্গজেব পর্যন্ত ৬ জন শাসকের আলোচনা রয়েছে। এছাড়া অবক্ষয় যুগের ১২ জন সম্রাট সম্পর্কেও সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হয়েছে এতে। পাশাপাশি আফগান শাসকদের সম্পর্কেও বর্ণনা রয়েছে। গ্রন্থটি ১৩টি অধ্যায়ে বিভক্ত। মুঘল এবং সুর আফগানদের সম্পর্কে ইতিহাসের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক এবং সাধারণ পাঠকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে এই গ্রন্থের মাধ্যমে।
ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান জানান, অনেক দিনের শ্রম ও নিষ্ঠার ফসল ‘মুঘল ভারতের ইতিহাস’। তিনি বলেন, ‘মুঘল ভারতের ইতিহাস বিষয়ে বাংলা ভাষায় রচিত গ্রন্থের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। তারপরও এ বিষয়ে একটি গ্রন্থ রচনার তাগিদ বহুদিন থেকেই অনুভব করছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইতিহাস’ ও ‘ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি’ বিষয়ের সম্মান শ্রেণির পাঠক্রমে মুঘল ভারতের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমি নিজেও আমার বিভাগে দীর্ঘদিন এ বিষয়ে পাঠদানের সাথে যুক্ত আছি। আর সেই সূত্রেই এতদবিষয়ে একটি মানসম্মত গ্রন্থ রচনায় আমার এ বিনীত প্রয়াস।’
অধ্যাপক ছিদ্দিকুরের ভাষ্য, প্রধানত শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির চাহিদা পূরণই গ্রন্থটি রচনার লক্ষ্য। তবে উৎসাহী ও ইতিহাস অনুরাগী পাঠকগণও গ্রন্থটি পাঠে হতাশ হবেন না। এমনকি মুঘল ইতিহাসের উপর গবেষকগণও এ থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র খোঁজে নিতে পারবেন। গ্রন্থটিতে প্রত্যেক সম্রাটের রাজত্বকাল ও প্রতিটি বিষয়বস্তুর আলোচনায় প্রাথমিক তথ্য উৎসসহ প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থসমূহের সূত্র উল্লেখ করে টীকা-টিপ্পনী সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গ্রন্থটির লেখক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে কর্মরত আছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জার্নালে তার ৩০টিরও বেশি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত এবং সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৬টি।