বাকৃবি

কৃষিবিদ দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা, ১০ কর্মকর্তা আহত

কৃষিবিদ দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা, ১০ কর্মকর্তা আহত
কৃষিবিদ দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা, ১০ কর্মকর্তা আহত  © সংগৃহীত

কৃষিবিদ দিবসে শোভাযাত্রা করতে এসে ছাত্রলীগের একাংশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তারা। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে, যদিও ঘটনাটিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা হাতাহাতি বলে জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে কৃষিবিদ দিবস পালিত হয়। এদিন সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. লুত্ফুল হাসান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর সবাই মিলে একটি শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে কর্মকর্তা পরিষদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তর্ক হয়। কথা-কাটাকাটি চলতে চলতে একসময় হাতাহাতি ঘটে।

তবে এ ঘটনার বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দেওয়া কর্মকর্তা পরিষদের অভিযোগপত্রে বলা হয়, কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শোভাযাত্রাসহ সব জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

আরও পড়ুন: জুতা হাতে নেপালি শিক্ষার্থীর দিকে তেড়ে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা

এমন পরিস্থিতিতেও বাকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে শোভাযাত্রা করতে চায়। পরে পরিস্থিতিতে কর্মকর্তাসহ প্রশাসন সার্বিক পরিস্থিতি রক্ষার স্বার্থে শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করে। কিন্তু প্রক্টরের ইন্ধনে সাবেক বহিষ্কৃত নেতা, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়।

এতে কর্মকর্তা পরিষদের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল কবির খানসহ ১০ কর্মকর্তা আহত হন। এ অবস্থায় প্রক্টর, পরিচালক বাউরেস ও পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় কর্মকর্তা পরিষদ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে ফোনে কিছু বলতে চাই না। আমি এখন ক্যাম্পাসের বাইরে আছি।’ ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা শোভাযাত্রা বের করতে গেলে কর্মকর্তা পরিষদের নেতাকর্মীরা বাধা দেয় ও ব্যানার ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে।’

আরেক পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতা তায়াফুর রহমান রিয়াদ বলেন, ‘কর্মকর্তা পরিষদের নেতারা অ্যালামনাইদের অপমান করেছেন। আমরা বাধা দিতে গেলে তাঁরা আমাদের ওপর চড়াও হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাঁরা বাধা দেওয়ার কেউ না। ’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, ‘দিবস পালনে কর্মসূচি অনুযায়ী কোনো ধরনের শোভাযাত্রার আয়োজন ছিল না। তবে আমি মনে করি, আজকের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুই পক্ষই দায়ী।’


সর্বশেষ সংবাদ