৬১ বছরে পা দিল বাকৃবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

আজ ১৮ আগস্ট। ৬১ বছরে পা দিল দেশের প্রথম উচ্চতর কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। ১৯৬১ সালের এই দিনে শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির পথ চলা। করোনা মহামারীর কারণে এবার সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে বাকৃবি।

দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যালিপেডে কৃষকদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ এবং বৃক্ষোরোপন কর্মসূচির আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বাস্তবায়ন কমিটি।

এরপর “বঙ্গবন্ধুর অবদান কৃষিবিদ ক্লাস ওয়াান” ফলক উন্মোচন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো আজহারুল ইসলাম, প্রক্টর ড. মো. মহির উদ্দীন সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, দেশের কৃষি ক্ষেত্রকে আধুনিকায়ন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সনের ১৩ ফেব্রুয়ারি উপহারসরূপ কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর সম্মাননা প্রদান করে ঘোষণা করেন “আমি তোদের সম্মান দিলাম তোরা আমার মান রাখিস”। আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পিছনে বাকৃবির অবদান অপরিহার্য। আজ কৃষিক্ষেত্রে বৈষ্যয়িক উন্নয়ন ঘটাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে বাকৃবি সবসময় সচেষ্ট। আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি বাকৃবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আজকের এই বিশ্ববিদ্যালয়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট ৬টি অনুষদ থেকে মোট ৮টি বিষয়ের উপর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। কিন্তু শুরুতে ভেটেরিনারি ও কৃষি অনুষদ নামে দুটি অনুষদ নিয়ে ১৯৬১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কয়েক মাসের মধ্যেই পশুপালন অনুষদ নামে তৃতীয় অনুষদের যাত্রা শুরু হয়। এর পরে ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়।


সর্বশেষ সংবাদ