২০ বছরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
- শেকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২০, ০৭:৫১ PM , আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০, ০৭:৫১ PM
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ১৯ বছর পেরিয়ে আজ ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। করোনা মহামারীর কারণে এবারে শিক্ষার্থীশূন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। বুধবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে স্বল্প পরিসরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কৃষি অনুষদ, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদ, অ্যানিম্যাল সায়েন্স ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ এবং ফিশারিজসহ মোট ৪টি অনুষদের মধ্যে ৩৫টি বিভাগ রয়েছে। শিক্ষার পাশাপাশি রয়েছে গবেষণার জন্য পাঁচটি খামার। শিক্ষার্থীদের জন্য মোট সাতটি আবাসিক হল রয়েছে। তারমধ্যে ছেলেদের জন্য তিনটি, মেয়েদের জন্য দুইটি এবং দুটির নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণাকর্মগুলোর মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধী সবজি সাউ টমাটিলো-১ ও সাউ টমাটিলো-২; সরিষার উন্নতজাত সাউ সরিষা-১, সাউ সরিষা-২ ও সাউ সরিষা-৩, ভুট্টার উচ্চফলনশীল জাত সাউ হাইব্রিড ভুট্টা-১ ও সাউ হাইব্রিড ভুট্টা-২, ভিনদেশি ফুলের পরিবেশ সহিষ্ণু নতুন জাত বঙ্গবন্ধু-১ ও বঙ্গবন্ধু-২, একই গাছে আলু ও টমেটোর জাত পমেটো, ভিনদেশি সবজি ব্রাসেলস স্প্রাউট, সলুক, উন্নত পানের জাত নির্বাচন, রসুনের বিকল্প বিডি নিরা উদ্ভাবন, প্রাণিদেহে অনুজীবঘটিত রোগবিষয়ক সফল গবেষণা অন্যতম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, উন্নত শিক্ষা, কোর্স কারিকুলাম ও গবেষণার একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৩৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার প্রকল্প কাজ এগিয়ে চলছে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
উপাচার্য বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে গবেষণার প্রকল্প চুক্তি হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন দেশের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক নেটওর্য়াক তৈরি হচ্ছ। গবেষণার ১৮টি প্রজেক্টের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। মহামারি করোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠানমালা থাকবে না। তবে মুজিববর্ষ চলছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও আছে তাই আমরা ক্যাম্পাসে শুধুমাত্র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করব।