বাকৃবিতে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ মে ২০১৯, ০৪:২৭ PM , আপডেট: ১৮ মে ২০১৯, ০৪:৩৬ PM
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী একাধিক পরীক্ষার্থী এ অনিয়মের অভিযোগ করেন।
এসবের মধ্যে পরীক্ষায় জাতীয় পরিচয়পত্রে ফটোকপি এবং অনলাইন কপি থাকলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া, কিছু প্রার্থীকে দেরিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ও প্রবেশপত্র ছাড়াই পরীক্ষায় বসতে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাকুরী প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে দেওয়া হবে না প্রবেশপত্রে এমন নির্দেশনা থাকলেও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে এই নিয়ম মানা হয়নি। কয়েকটি কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও প্রার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে এমনকি কয়েকজন প্রার্থী প্রবেশপত্র ছাড়াই পরীক্ষায় দেয়। কয়েকজন প্রার্থী এমন অনিয়মে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাঁদের অভিযোগ, পদের বিপরীতে প্রার্থী ঠিক করা আছে। এটা শুধু বাকিদের আই ওয়াশ করার জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত কাগজপত্র ছাড়াই তাঁদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা পরও কয়েকজন প্রার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। পরীক্ষা এমন এমন অনিয়মে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়োগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী বলেন, পরীক্ষার প্রবেশপত্রে স্পষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া ছিল। তাই জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ছাড়া কাউকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করে উপ-উপাচার্য জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি ছাড়াও প্রার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেন। এ কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে অনেকের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান বলেন, দীর্ঘদিন পর নিয়োগ হওয়ায় অনেকে অনেকেই অনেক কথা বলবেন। তবে নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে ২০১৪ সালে এবং ২০১৭ সালে দুই দফায় দেড় শতাধিক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে প্রায় তিন হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি কেন্দ্রে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।