বাকৃবিতে হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার

বাকৃবির লোগো
বাকৃবির লোগো   © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান আন্দোলন নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত প্রায় বারোটা পর্যন্ত চলে এ আলোচনা। 

আলোচনার মাধ্যমে আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদেরকে কোনো শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আলোচনায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। 

আলোচনা চলাকালীন উপাচার্য অধ্যাপক এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে আলোচনায় যুক্ত হন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোনিয়া সেহেলী, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আকতারুজ্জামানসহ আন্দোলনকে ঘিরে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং প্রায় অর্ধশত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক বলেন, ‘আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে সিন্ডিকেট সভা ডেকে হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করা হবে। পাশাপাশি আমরা আশা করছি যে, আগামী সাতদিনের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এসময় কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের আগের তিন ডিগ্রির সিদ্ধান্তই বলবৎ আছে। এটি নিয়ে সামনে আরও আলোচনা করা হবে।’

তদন্ত কমিটির নোটিশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের ব্যাপারে কোনো কথা উল্লেখ না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের বিষয়টি উল্লেখ না থাকলেও সেখানে যা যা ঘটেছিলো সব ঘটনার তদন্তই করা হবে।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, আজকে স্যারদের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খুলে দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। আগামীকাল সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে হল বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে এবং আগামী সাতদিনের মধ্যে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হওয়ার ব্যাপারে স্যাররা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। সেজন্য আমরা আগামীকাল আমাদের আন্দোলনের কোন কর্মসূচি রাখছি না। তবে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে পরবর্তীতে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে আমরা আবার আন্দোলনে ফিরে যাব।

আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী মো শিবলী সাদী বলেন, একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি, এ বিষয়ে সামনে আরও আলোচনা হবে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। উপাচার্য আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে, আন্দোলনকারীদেরকে অ্যাকাডেমিক বা হলভিত্তিক কোনো বিষয়ে শাস্তি দিয়ে হয়রানি করা হবে না। এ বিষয়ে আগামীকাল তিনি লিখিত বক্তব্য দেবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ