বাকৃবিতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ 

বাকৃবিতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পুনর্বহালের দাবিতে  বিক্ষোভ করেছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা
বাকৃবিতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তাদেরকে 'মানি না, মানবো না', 'দাবি মোদের একটাই, হলের নাম ফেরত চাই' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে। 

জানা গেছে, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর  অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৩২৭তম অধিবেশনে গৃহীত ৭নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান/নির্মাণাধীন হলসমূহ, নতুন ভবন এবং স্থানের নাম পরিবর্তন করা  হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের  নাম পরিবর্তন করে জুলাই ৩৬ হল,  রোজী জামাল হলের নাম কৃষিকন্যা হল, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম বেগম খালেদা জিয়া হল, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া পিএইচডি ডরমেটরির নাম শহীদ সাদ ইবনে মমতাজ পিএইচডি ডরমিটরি, নতুন অতিথি ভবন/গেস্ট হাউজের নাম কৃষিবিদ গেস্ট হাউজ এবং বঙ্গবন্ধু চত্বরের নাম পরিবর্তন করে সমাবর্তন চত্বর রাখা হয়েছে। 

লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীরা জানান, 'প্রভোস্ট ম্যাম অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা হলে এসেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিবাদের দোসর ট্যাগ দিয়েছেন ।বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আবাসিক শিক্ষার্থী কারা? এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি ভাইভা বোর্ডে ফেইল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।'  

লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মুনির হোসাইন স্যার হলের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ করায় 'বঙ্গমাতার সঙ্গে এত পিরিত কেন?' ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেছেন। এছাড়া, সহকারী প্রক্টর আনিসুর রহমান মজুমদার (টিটু) স্যার একজন শিক্ষার্থীর সাথে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তাকে 'ছাত্রলীগ' ট্যাগ দিয়েছেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিবর্তিত নাম 'জুলাই ৩৬ হল' বাদ দিয়ে পূর্বের নাম বহাল রাখা হোক। পাশাপাশি সিন্ডিকেটের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হোক এবং সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হলটির পূর্বের নাম বহাল রাখা হোক।

অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী প্রক্টর ড. মো. মুনির হোসাইন বলেন, 'আমরা এমন কিছু বলিনি। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি ভিন্নভাবে বুঝেছে।'


সর্বশেষ সংবাদ