গবেষণার মাঠ ফেরতের দাবিতে শেকৃবি’র শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
- শেকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৬ PM , আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৬ PM
বাণিজ্য মেলার জন্য দখলকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মাঠ পুনরায় ফিরে পেতে মানববন্ধন করেছে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে বাণিজ্যমেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধন করেন তারা।
দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যমেলার জন্য মাঠটি ব্যবহার হলেও এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে দাবিকৃত এই মাঠটি। বাণিজ্য মেলার জন্য সাময়িক ব্যবহারের জন্য মাঠটি এরশাদ সরকার কর্তৃক নেয়া হলেও তা পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়কে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না বলেও জানা যায়।
মূলত ব্রিটিশ সরকার ঢাকায় “The Bengal Agriculture Institute” (বর্তমানে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) স্থাপনের জন্য ১৯২০ খ্রিঃ ১৫/১৯১৯-২০নং এল এ কেইস এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৯৮.৪৮২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে যা ১০৯ নং ডিক্লারেশনের মাধ্যমে ৩ জানুয়ারি ১৯২০ সালে কলকাতা গেজেটভুক্ত হয়।
শেকৃবি’র শিক্ষক প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বে কৃষি কলেজ ছিল। তখন এই বাণিজ্য মেলা মাঠ কলেজের গবেষণা মাঠ হিসেবে ব্যবহার হতো। এই মাঠে কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে হল ছিল। মুরগির ফার্মসহ বিভিন্ন গবেষণার কাজ হতো এই মাঠে। তৎকালীন স্বৈরাচার সকাল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এই মাঠকে আমাদের নিকট হতে ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, তখন হতে বাণিজ্য মেলা হতো এই মাঠে। বিগত ৩ বছর হতে বাণিজ্য মেলা স্থানান্তরিত করে অন্য জায়গায় নেয়া হয়। বর্তমানে এই মাঠ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এই দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে গবেষণার বিকল্প নাই। গবেষণা মাঠের সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার অগ্রগতি কম। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে আমরা আমাদের নিজস্ব মাঠ ফেরত চাই।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজ আলোচনায় বসছেন ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীরা
এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, এ মাঠ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি। এরশাদ সরকার জোরপূর্বক আমাদের নিকট হতে এই মাঠ ছিনিয়ে নেয়। গবেষণা মাঠ সংকটের কারণে আমরা ফিল্ডে কাজ করতে পারি না। আমাদের পড়াশোনা প্রয়োগের জায়গা হলো ফসলের মাঠ। তাই এই মাঠ ফেরতের জোর দাবি জানাচ্ছি।"