বিশ্বসেরার তালিকায় বাকৃবির ৩৯৫ গবেষক
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩২ PM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১০:২৭ PM
আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত 'ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র্যাংকিং-২০২৩' এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাকৃবির ৩৯৫ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৫৬ জন।
শনিবার (১ জুলাই) এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্যে বিশ্বের ২১৮টি দেশের ২১ হাজার ৯৭৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৫৬২ জন গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ১৬৫ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন।
এ বছরের তালিকায় বাকৃবির গবেষকদের মধ্যে সব ধরনের ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থানে রয়েছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে সেরা ১০ জনের অন্যান্য গবেষকরা হলেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহিরউদ্দীন, জেনেটিক্স এবং উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান সরকার, ডেইরি সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আব্দুস সামাদ খান, মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তানভীর রহমান, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. জোয়ার্দ্দার ফারুক আহমেদ, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ও বাকৃবির ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড এ কে এম জাকির হোসেন।
ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র্যাংকিং-২০২৩ সূত্রে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩২ জন গবেষক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭ জন গবেষক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন গবেষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩০ জন গবেষক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৪ জন গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ জন গবেষক, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪ জন গবেষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৪ জন গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন গবেষক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৭ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন বিশ্বসেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীর তালিকায়।
সংস্থার ওয়েবসাইট (https://www.adscientificindex.com/methodology/) সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (AD Scientific Index) সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকরিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে 'এইচ' এবং 'আই-১০' সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়।
তাছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।