সড়কের নিরাপত্তার বদলে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে বাকৃবির স্পিডব্রেকার

বাকৃবির স্পিড ব্রেকার এবং ভুক্তভোগী এক ভ্যানচালক
বাকৃবির স্পিড ব্রেকার এবং ভুক্তভোগী এক ভ্যানচালক  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে স্পিড ব্রেকার। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা সেই স্পিড ব্রেকারগুলোই এখন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে এসব স্পিডব্রেকার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সড়ক ব্যবহার করা সাধারণ যাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শেষ মোড় পর্যন্ত দুইটি আলাদা রাস্তায় নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর একসাথে তিনটি করে স্পিড ব্রেকার স্থাপন করা হয়েছে। ব্রেকারগুলোর মধ্যে দূরত্ব অনেক কম এবং ব্রেকারের ঢালও অনেক খাড়াভাবে বানানো। এতে বিপাকে পড়েছেন যানবাহনের ড্রাইভার ও সাধারণ যাত্রীরা। এছাড়া, স্পিড ব্রেকারের কারণ দেখিয়ে এরই মধ্যে অটো ও রিকশা ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে।

জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম ইফতির মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সড়ক নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বিভিন্ন ট্রাফিক চিহ্ন সংবলিত বাধ বসানো হয়। সেই সাথে বসানো হয় বেশ কিছু স্পিড ব্রেকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে উচ্চগতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: বিধি প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, এক সাথে তিনটি করে স্পিড ব্রেকার দেওয়া ঠিক হয়নি। মূলত স্পিড ব্রেকারগুলো খাড়া হওয়াতেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্পিড ব্রেকারগুলোর কারণে রিক্সা ও অটোর ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত পরিমিত পরিমাণে স্পিড ব্রেকার রেখে বাকিগুলো সরানোর দাবি জানাচ্ছি।

এক রিকশা চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন রাস্তায় চলাচল করা খুব কষ্টসাধ্য বিষয়। খাড়া স্পিড ব্রেকারের কারণে অটো বা রিকশার ক্ষতি হচ্ছে। চাকার স্পাইক দুর্বল থাকলে চাকা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এইজন্যই এই রাস্তার ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। রাস্তা এমন থাকলে ভবিষ্যতে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে রিকশা নিয়ে আসবো না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, মাঝেমধ্যেই ক্যাম্পাসের মধ্যে বহিরাগতদের উচ্চ গতিতে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঝুঁকিতে থাকেন। সড়কগুলোতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোরদার করতে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় স্পিড ব্রেকার স্থাপন করা হয়েছে। তবে স্পিড ব্রেকারগুলোর কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে। কাজ শেষ হলে এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না।


সর্বশেষ সংবাদ