মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে জরুরি নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ PM
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একটি স্বচ্ছ ব্যাগে রঙ্গিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র/রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ এর মধ্যে আবশ্যিকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। এর বাইরে কোন ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর সহ যে কোন ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ঘড়ি সহ অন্য কিছু নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
এ বছর লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের ( এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট ১০০ (একশত) নম্বরের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন হল যথাক্রমে জীববিজ্ঞান-৩০, রসায়ন-২৫, পদার্থ বিজ্ঞান-১৫, ইংরেজি-১৫, এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়ন-১৫। পাশ মার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ নম্বর। পরীক্ষার সময় গত বছরের তুলনায় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি যার মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৪০৬টি। যার মধ্যে এমবিবিএস ৬ হাজার ১ এবং বিডিএস এক হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। যার মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১১ হাজার ১০১ এবং বিডিএস কোর্স এক ৯৫০টি আসন।
সর্বমোট ১৩ হাজার ৫১ টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছেলে এবং ৭৩ হাজার ৬০৪ জন মেয়ে।
নির্দেশনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্র ফাঁস গুজবের বিশ্বাস না করা জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।