মেডিকেল ভর্তি: কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি স্থগিত থাকবে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি আপাতত স্থগিতই থাকছে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি আপাতত স্থগিতই থাকছে  © ফাইল ছবি

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি আপাতত স্থগিতই থাকছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি করা হবে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমিন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণদের সনদ যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য কোটায় পাসকৃতদের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটায় পাসকৃতদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিতই থাকবে। তাদের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রকাশিত ফলাফলে ৫ হাজার ৩৮০ পরীক্ষার্থী ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ১৯৩ জন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় ও ৩৪৮ জন পশ্চাৎপদ জাতিগোষ্ঠী কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

ভর্তি আবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাধারণ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৪টি। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেন ৫৯ হাজার ৫৫৪ জন। তাদের মধ্যে সরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য মেধার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৫ হাজার ৭২ জন।

আরো পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সনদ জমা দেওয়া ১৫৮ জনের মধ্যে ৮১ জনের তথ্য সঠিক নয়

বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ৫ শতাংশ বা ২৬৯ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৬৮৬ জন। তাদের মধ্যে পাস করেন ১৯৩ জন। পাস নম্বর অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বর তুলেতে পারেননি ৪৯৩ জন। 

ফলাফলের তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও দেখা গেছে, পশ্চাৎপদ জাতিগোষ্ঠী (পার্বত্য জেলার উপজাতীয় এবং অউপজাতীয় প্রার্থী, অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থী) কোটায় দশমিক ৭২ শতাংশ বা ৩৯টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ১ হাজার ২০১ জন। পাস করেন ৩৪৮ জন। অর্থাৎ প্রতি ৯ জনে একজন ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৬০ হাজার ৯৫ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ