কৃষি গুচ্ছের চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৯ ডিসেম্বর, করণীয় জানাল কর্তৃপক্ষ

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

কৃষিগুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণির চূড়ান্ত ভর্তি আগামী ৯ ডিসেম্বর শুরু হবে। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এ কার্যক্রম সম্পন্নকরণে প্রার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয় কী, তা প্রকাশ করেছে ভর্তি কমিটি।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি সভাপতি ও সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক শ্রেণির কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

১. ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ৯ থেকে ১২ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

২. ভর্তির সময় প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র এবং চার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে প্রদত্ত ছবির অনুরূপ) জমা দিতে হবে। কোটা সংক্রান্ত মূল ডকুমেন্টস প্রদর্শন করতে হবে/প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জমা দিয়ে ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। 

স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রার্থীর কোটা সংক্রান্ত ডকুমেন্টস যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক তাদের ভর্তি সম্পন্ন করবে। কোটার সনদসমূহ নিম্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত হতে হবে।

ক. মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদ। মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনিদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার অমুক পুত্র/কন্যার সন্তান/নাতি-নাতনি এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উল্লেখপূর্বক সনদ।

খ. উপজাতি/আদিবাসী কোটার জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সনদ।

গ. প্রতিবন্ধী কোটার জন্য উপজেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তার সনদ।

ঘ. হরিজন-দলিত কোটার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদ।

ঙ. পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পোষ্য সংক্রান্ত সনদ।

চ. প্রবাসীর সন্তানের ক্ষেত্রে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত সনদ।

ছ. বিকেএসপির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সনদ।

জ. ছিটমহলের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত সনদ।

আরো পড়ুন: কৃষি গুচ্ছের আসন শূন্য, ভর্তি জন্য ডাকা হলো অপেক্ষমানদের

৩. ভর্তি ফিস সংক্রান্ত:
ক. বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ নিজ নিজ ওয়েবসাইটে নির্ধারিত ভর্তি ফি’র পরিমাণ উল্লেখপূর্বক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।

খ. চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের নির্ধারিত ভর্তি ফি-এর পরিমাণের সাথে পূর্বে/প্রথম ধাপে জমাকৃত অর্থ ১০ হাজার টাকা সমন্বয় করে অবশিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের পূর্বে প্রথমধাপে জমাকৃত ১০ হাজার মাত্র টাকা সমন্বয় করতঃ অবশিষ্ট আর কত টাকা জমা দিতে হবে তা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে হবে।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।


সর্বশেষ সংবাদ