ষষ্ঠ ধাপের ভর্তি শেষেও আসন খালি চবিতে, পূরণ হবে যেভাবে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০৮:১৮ AM , আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৪২ AM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সব আসন এখনো পূরণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ষষ্ঠ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেও এখনো ২৬৪টি আসন খালি রয়েছে। এ ছাড়া যারা ভর্তি হয়েছেন, তাদের অনেকে বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে আসনগুলো খালি রয়ে গেছে। আরও একবার তালিকা প্রকাশ করে এসব আসন পূরণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিট ও দুটি উপ-ইউনিটে চার হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে অন্তত ছয় শতাংশ খালি রয়েছে বলে জানা গেছে। এভাবে আসন খালি থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিরতা, মারামারি ও শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিষয়টি সামনে আনছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে খালি রয়েছে ১১৮টি আসন। এ ছাড়া ‘বি’ ইউনিটে ১০১টি, ‘সি’ ইউনিটে সাতটি আসন ও ‘ডি’ ইউনিটে ৩৩টি আসন খালি রয়েছে। এ ছাড়া ‘বি১’ উপ-ইউনিটে তিনটি ও ‘ডি১’ উপ-ইউনিটে দুটি আসনে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।
এদিকে বি-১ উপ-ইউনিটের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগে ভর্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। এ কারণে বিভাগ দুটির ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ৩৫টি আসনের মধ্যে খালি রয়েছে ৮টি আসন। আর ৩০টির মধ্যে ৯টি আসন খালি সংগীত বিভাগে।
আরো পড়ুন: পাস করেও মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন না ৬৯ হাজার শিক্ষার্থী
চবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ষষ্ঠ ধাপের প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখনো ২৬৪টি আসন খালি রয়েছে। সপ্তম ধাপে এগুলো পূরণ হয়ে যাবে যাবে বলে আশা করছি। এরপরও না হলে বিকল্প উপায় ভাবব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খালি আসন পূরণ করার জন্য আরেকবার তালিকা দেব আমরা। এখনো ভর্তি কার্যক্রম সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ হয়নি। কাছের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করছে। এ কারণে বিষয় পছন্দক্রম পূরণ করছে না তারা।
আসন খালি থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিন্ডিকেট সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ আগের মতো নেই। বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে চট্টগ্রাম। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা সন্তানকে ভর্তিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা কাছের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী।’