২০ অক্টোবর থেকেই শুরু হচ্ছে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১০:৫১ AM , আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১১:১০ AM
আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম। এবার প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা। এরপর চূড়ান্ত পরীক্ষার আয়োজন করবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান আজ বুধবার (১৩ অক্টেবার) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগামী ২০ ও ২১ অক্টোবর বুয়েটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পর্ব এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, আগামী ২০ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হবে। একই দিনে বুয়েটের ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার জানান, ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ১৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন হওয়ার কথা ছিল। তবে গত ৭ অক্টোবর ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে ২০ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী। আমাদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হয়েছে এর অনেক আগে।
“তাই এই মুহূর্তে পরীক্ষা পেছানোর সম্ভাবনা একেবারেই কম। কেননা ২০ তারিখ পরীক্ষা নিতে না পারলে এই বছর ভর্তি পরীক্ষার সিডিউল পাওয়া যাবে না। এছাড়া করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে গেলে বিষয়টি নিয়ে আরও জটিলতা সৃষ্টি হবে।”
তথ্য মতে, গত ২ সেপ্টেম্বর উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের বৈঠকে ২০ ও ২১ অক্টোবর বুয়েটের প্রাথমিক বাছাই ও ৬ নভেম্বর চূড়ান্ত পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। পরে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সেটি চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে দুই ধাপে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রাক-নির্বাচনী পর্ব গত ৩০ জুন ও ১ জুলাই এবং ১০ জুলাই চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
ওই সময় দেশের মহামারী পরিস্থিতির অবনতি হলে এবং লকডাউন বিবেচনায় পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে তখন বলা হয়।
সম্প্রতি সংক্রমণের হার কমে আসায় অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় অক্টোবরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পিছিয়ে যাওয়া ভর্তি পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে।
মহামারীকালে এবার জেএসসি ও এসএসসির গড় ফলেরভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করায় ভর্তির পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে বুয়েট। যোগ্যদের বাছাই করতে দুই ধাপে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ছয় হাজার শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হবে।
চূড়ান্ত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তদের প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মোট ১ হাজার ২১৫ আসনে ভর্তি করা হবে।